তারুণ্যে ভরা শাইনপুকুরের কাছে আশরাফুল, নাসিরদের হার
তানজিদ তামিম, তৌহিদ হৃদয় আর রবিউল ইসলামের মাঝারি ইনিংসে ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছিল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ওই রান নিয়ে দারুণ জ্বলে উঠলেন বাঁহাতি স্পিনার তানবির ইসলাম। অভিজ্ঞতায় ভরা শেখ জামাল ধানমন্ডি পারল না কুলিয়ে উঠতে।
শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডিকে ১০ রানে হারিয়েছে শাইনপুকুর। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৩৭ রান করেছিল শাইনপুকুর। মূল ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় শেখ জামাল করতে পেরেছে ১২৭ রান। শেখ জামালের ইনিংস বেধে রাখতে ৪ ওভার বল করে মাত্র ৮ রানে ৩ উইকেট নেন তানবির।
১৩৮ রানের লক্ষ্যে সৈকত আলি-মোহাম্মদ আশরাফুলের উদ্বোধনী জুটি হয় ব্যর্থ। মুখোমুখি প্রথম বলে ৪ মেরে দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আশরাফুল। সৈকত ফিরে যান দ্বিতীয় ওভারে।
১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে পথ হারানো শেখ জামাল আর দিশা পায়নি। তিনে নামা নাসির হোসেন থিতু হলেও বাড়তে পারেননি বেশি। অধিনায়ক নুরুল হাসানের আগে চারে পাঠানো হয় ইলিয়াস সানিকে। নাসির-ইলিয়াস জুটিতে আসে ৫৮ রান। খেলা তখনও নাগালে ছিল শেখ জামালের।
২১ বলে ২৮ করে ইফতিখার সাজ্জাদের বলে আউট হন নাসির। সানি ২৫ বলে ৩০ করে হন রান আউট। এরপর তানবির এসে নুরুল আর তানবির হায়দারকে পর পর আউট করে দিলে ম্যাচ চলে আসে শাইনপুকুরের দখলে।
পরে সোহরাওয়ার্দি শুভ চেষ্টা চালিয়েছিলেন। কিন্তু মারে জোর ছিল না তার। ১৫ রান করতে তিনি লাগিয়ে দেন ২৩ বল। তার এই ইনিংসের পর রানের চাপ বেড়ে যায় অনেক। জিয়াউর রহমানও করেন হতাশ। নয়ে নেমে মোহাম্মদ এনামুল দুই ছক্কায় চেষ্টা চালালেও লক্ষ্যটা চলে যায় ক্রমশ নাগালের বাইরে।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৭ রান। এনামুল হয়ে যান রান আউট। এরপর খেলার ফল নিয়ে কোন সংশয় থাকেননি।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে সাব্বির হোসেন, তানজিদের ব্যাটে জুতসই শুরু আনে শাইনপুকুর। খুব আগ্রাসী মেজাজে চালাতে না পারলেও উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৫৪ রান। মন্থর উইকেটে সময় নিয়ে অধিনায়ক হৃদয় ২৮ করেন ৩০ বলে।
শেষ পর্যন্ত শাইনপুকুরের ইনিংস বড় হয়েছে মূলত রবিউলের ছোট্ট ঝড়ে। ২৬ বলে অপরাজিত ৩৪ রান করে দলকে জেতার মতো ভিত পাইয়ে দেন তিনিই।
লিগে তিন শাইনপুকুরের এটি প্রথম জয়। সমান ম্যাচে দ্বিতীয় হার শেখ জামালের।
Comments