প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর আমাদের মতামত জানাব: কাসেমিরো
কেবল ইউরোপের ক্লাবগুলোতে খেলা ফুটবলাররা নয়, কোচ তিতেসহ ব্রাজিল দলের সবাই দেশটিতে কোপা আমেরিকা আয়োজনের বিপক্ষে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন কাসেমিরো। তবে নিজেদের মতামত স্পষ্ট করে জানাতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করার কথা বলেছেন পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের অধিনায়ক ও রিয়াল মাদ্রিদের তারকা মিডফিল্ডার।
গত সোমবার কোপা আমেরিকার আয়োজক হিসেবে ঘোষণা করা হয় ব্রাজিলের নাম। মূলত, আসরটি আয়োজন করার কথা ছিল কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার। প্রতিযোগিতাটির ১০৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো যৌথভাবে আয়োজন করার পরিকল্পনা অবশ্য ভেস্তে গেছে। চলমান উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে বাদ পড়ে কলম্বিয়া। আর করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শেষ মুহূর্তে আর্জেন্টিনাকেও ছেঁটে ফেলা হয়।
কোপা আমেরিকার স্বাগতিক দেশ হিসেবে ব্রাজিলের নাম ঘোষণার পর থেকেই চলছে তর্ক-বিতর্ক। কারণ, দেশটির করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ভয়াবহ। আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম সম্প্রতি জানায়, দেশটিতে কোপা আমেরিকার আয়োজনের বিপক্ষে অবস্থান জাতীয় দলের অনেক ফুটবলারের।
ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে কোচ তিতে জানান, ‘তাদের (খেলোয়াড়দের) নিজস্ব মতামত থাকতেই পারে। তারা এটা (ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের) সভাপতিকে ব্যাখ্যা করে জানিয়েছে। পরে তারা জনগণের কাছেও এটা প্রকাশ করবে।’
শনিবার নিজেদের মাঠ পোর্তো আলেগ্রেতে রিচার্লিসন ও নেইমারের লক্ষ্যভেদে ইকুয়েডরকে ২-০ গোলে হারায় ব্রাজিল। এরপর সংবাদ সম্মেলনে কাসেমিরোকে মুখ খুলতে হয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে। তিনি আভাস দিয়েছেন, খেলোয়াড় ও কোচ সবাই চায় ব্রাজিলে কোপা আমেরিকা না হোক, ‘কোপা আমেরিকা নিয়ে আমাদের অবস্থান সবাই জানে। এর চেয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলা যায় না। আমরা প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর আমাদের মতামত জানাব। এটা কেবল আমার কিংবা ইউরোপে যারা খেলে তাদের কথা নয়। কোচ তিতেসহ প্রত্যেকের কথা এটা। আমরা সবাই একসঙ্গে আছি।’
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে ব্রাজিল। পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে জিতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে তালিকার শীর্ষে। আগামী বুধবার ষষ্ঠ ম্যাচে প্যারাগুয়ের মাঠে খেলতে নামবে তারা। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ছয়টায়।
উল্লেখ্য, শনিবার জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার জানিয়েছে, বিশ্বে মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় ও সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৬৮ লাখ ৪১ হাজার ৪০৮ জন এবং মারা গেছেন চার লাখ ৭০ হাজার ৮৪২ জন।
Comments