১৮ দিনের রিমান্ড শেষে হেফাজত নেতা মামুনুল কারাগারে

হেফাজত নেতা মামুনুল হক। স্টার ফাইল ফটো

ধর্ষণ ও নাশকতার ছয় মামলায় ১৮ দিনের রিমান্ড শেষে হেফাজতে ইসলামের সাবেক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ থেকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালতে পুলিশ মামুনুল হককে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে মামুনুলকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘১৮ মে ছয় মামলায় তদন্তকারী সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মামুনুল হককে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসা হয়। প্রত্যেক মামলায় তিন দিন করে ১৮ দিনের রিমান্ড শেষে সকালে মামুনুলকে আদালতে হাজির করে পিবিআই।’

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘১৮ দিনের রিমান্ডে মামুনুল অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তিন তদন্তকারী সংস্থাকে নিয়ে এসব তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। রোববার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে সব কিছু জানানো হবে।’

দুই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে হেফাজত নেতা মামুনুলের বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় মামলা করেন এক নারী। যাকে মামুনুল তার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে দাবি করেছিল। গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে একটি রিসোর্টে ওই নারীসহ অবরুদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।

রিসোর্টে মামুনুলের অবরুদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে স্থানীয় হেফাজত নেতাকর্মীরা রিসোর্ট ভাঙচুর করে মামুনুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাড়ি ভাঙচুর, মহাসড়কে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ অফিস, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এক সাংবাদিককেও পিটিয়ে আহত করে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় পুলিশ দুটি ও সাংবাদিক একটি মামলা করেন। এর কিছুদিন পর স্থানীয়রা আরও তিনটি মামলা করেন। এই ছয় মামলার মধ্যে তিনটি মামলায় প্রধান আসামি মামুনুল হক।

Comments

The Daily Star  | English

Cops gathering info on polls candidates

Based on the findings, law enforcers will assess security needs in each constituency and identify candidates who may pose risks.

12h ago