মুনিম, মুশফিকের ঝড়ে জিতল আবাহনী
আলাউদ্দিন বাবু, জাহিদুজ্জামানের শেষের তাণ্ডবে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়ে গিয়েছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। রান তাড়ায় নেমে মুনিম শাহরিয়ার আনেন ঝড়ো শুরু। এরপর তিনে নেমে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন মুশফিকুর রহিমও, নাঈম শেখ দেন সঙ্গ। ৭ বল আগেই ম্যাচ জিতে যায় আবাহনী লিমিটেড।
শনিবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দুপুরের ম্যাচ বৃষ্টির কারণে সময়মত শুরু হতে পারেনি। নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টার পর শুরু হওয়া ম্যাচ নেমে আসে ১১ ওভারে। তাতে আগে ব্যাট করে ১০১ রান করে ফেলেছিল ব্রাদার্স। মুনিমের ১২ বলে ২৫, মুশফিকের ২১ বলে ৩৭ আর নাঈমের ২৬ বলে ৩৬ রানে ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তিন ম্যাচে আবাহনীর এটি টানা তৃতীয় জয়।
১০২ রানের লক্ষ্যে নেমেই তাণ্ডব শুরু করেন মুনিম। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ১২ বলের ইনিংসেই তৈরি করে দিয়ে যান জেতার সুর। ৪ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় করেন ২৫ রান।
নাঈম শেখ শুরুতে ধুঁকছিলেন। বাউন্ডারি বের করা এক পর্যায়ে বেশ কঠিন হয়ে পড়েছিল তার। তিনে নেমে সে দায়িত্ব নেন মুশফিক। অভিজ্ঞ হাতে দ্রুত রান এনে কাজটা সহজ করে দেন তিনি। অবশ্য ব্রাদার্স ফিল্ডাররাও মুশফিককে দিয়েছেন সুযোগ। ১৭ রানে ডিপ মিড উইকেটে তার সহজ ক্যাচ ছাড়েন আলাউদ্দিন।
শুরুতে দ্রুত রান আনতে ধুঁকতে থাকা নাঈমও পরে বাউন্ডারিতে পুষিয়েছেন। মুশফিকের সঙ্গে ম্যাচ জেতানো অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আসে ৬৪ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে গিয়ে জুতসই শুরু পায়নি ব্রাদার্স। মিজানুর রহমান দ্রুত রান আনলেও জুনায়েদ সিদ্দিকী ছিলেন মন্থর। ২০ রান করতে তিনি লাগিয়েছেন ২০ বল। অধিনায়ক মিজান ১৪ বলে করেন ২০। এরপরের তিন ব্যাটসম্যান যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। ব্রাদার্সের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই ম্যাচে অভিষেক হওয়া তানজিম হাসান সাকিব। এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল ৮০ রানের আশেপাশে থাকবে ব্রাদার্স। কিন্তু ২ ওভারে ৩ উইকেট নেওয়া সাকিবকে দিয়ে আরেক ওভার না করিয়ে সাইফুদ্দিন, মেহেদী হাসান রানাকে বেছে নেন মুশফিক।
তাদের আলগা বলের ফায়দা তুলেছেন আলাউদ্দিন-জাহিদ। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সেই রান অনেকটাই বাড়িয়ে দেন তারা। তাইজুল ইসলাম, সাইফুদ্দিন, রানাকে পিটিয়ে শেষ তিন ওভারে তারা আনেন ৫০ রান।
জাহিদুজ্জামান ১০ বলে ২৫, আলাউদ্দিন ১০ বলে করেন ২৪। কিন্তু বাজে বোলিং-ফিল্ডিংয়ে নিজেদের শক্ত পুঁজিটা বিফলে গেছে তাদের।
Comments