বগুড়ায় সতর্কতামূলক বিধিনিষেধ
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/bogra_1.jpg?itok=tKf67S9t×tamp=1688501058)
সীমান্ত জেলাগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বগুড়ায় আগামীকাল রোববার থেকে পুরো সতর্কতা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন।
পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং নওগাঁ জেলায় করোনা সংক্রমণ রোধে অনেক জায়গায় লকডাউন আরোপের পরিপ্রেক্ষিতে বগুড়ার জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে আজ শনিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নতুন এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অতি জরুরি প্রয়োজন (ওষুধ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনা-বেচা, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন-সৎকার ইত্যাদি) ছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।
এ ছাড়া, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর হোটেল-রেস্তোরাঁ, দোকান-পাট, শপিংমল, কাঁচাবাজারসহ যেকোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যেখানে লোক সমাগম হয় তা বন্ধ থাকবে। তবে, হোটেল বা খাবারের দোকানগুলো শুধু খাদ্য সরবরাহ করতে পারবে। হোটেল-রেস্তোরাঁতে বসে খাবার খাওয়া যাবে না।
সবধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান, গণ জমায়েত, কমিউনিটি সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্র, রাস্তার পাশের চায়ের দোকান সাড়ে ৭টার পর বন্ধ থাকবে। তবে, সরকারের রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত দপ্তর-সংস্থা জরুরি পরিসেবার আওতাভুক্ত হবে এবং সবধরনের সরবরাহ ব্যবস্থাপনা চালু থাকবে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর বিধিনিষেধ আরোপ করে কোন ফল হবে কিনা? জানতে চাইলে বগুড়ার জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ রোধে এটা আমাদের চেষ্টার একটি অংশ। সন্ধ্যার পর বিভিন্ন জায়গায় লোক সমাগম হয়, সেজন্য এই বিধিনিষেধ।’
‘আশাকরি এটা সংক্রমণ রোধে কাজে দেবে। এখন পর্যন্ত অন্য জেলাগুলো থেকে বগুড়ায় করোনা সংক্রমণ কম’, যোগ করেন তিনি।
বিধিনিষেধ দিলে সেটা মাঠ পর্যায়ে কার্যকর হয় না কেন? এ প্রশ্নের জবাবে জিয়াউল হক বলেন, ‘এবার আমরা সৰ্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
Comments