সাতক্ষীরায় শহর এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ, বাজারে শিথিল
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/amtola_satkhira.jpg?itok=ruu70GwV×tamp=1623073181)
করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চলাচলে এক সপ্তাহ বিধিনিষেধ চলছে সাতক্ষীরায়। গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে আজ শহরে পুলিশ মোড়ে ব্যারিকেড দিয়েছে। তারপরও কিছু ইজিবাইক ও মোটরসাইকেল চলতে দেখা গেছে। শহরের চিংড়ি পোনা বাজার ও বড় বাজারে লোকজনের ভিড় দেখা গেছে। জেলা ও উপজেলা শহর ছাড়া গ্রামে কেউ বিধিনিষেধের তোয়াক্কা করছে না বললে অত্যুক্তি হবে না।
সাতক্ষীরা শহরে আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, আমতলা, নারকেলতলা, খুলনা রোড মোড়, পাকাপোল মোড়, নিউ মার্কেট মোড়, তুফান মোড়, মেডিকেল কলেজ মোড়, পোস্ট অফিস মোড়, পুরাতন সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় পুলিশ ব্যারিকেড দিয়েছে। তারপরও মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে বাকবিতাণ্ডায় জড়াতে দেখা যায় বেশ কয়েকজনকে। বিভিন্ন এলাকায় ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও ভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে। শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় চিংড়ি পোনা বাজারে দুপুর ১২টার দিকে মাস্ক ছাড়াই লোকজনের ভিড় দেখা যায়।
বাজার মোড়ে এক যাত্রীকে নিয়ে আসা ভ্যানচালক মফিউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ভালো থাকি কেমন করে। স্বামী-স্ত্রী নিয়ে পাঁচ জনের সংসার। ভ্যানের উপর সব। ভ্যান চালতে পারলে দিন যায়, না চালতে পারলে অর্ধাহারে থাকতে হয়। করোনা শুরু থেকে ভালো যাচ্ছে না সংসার। তারপর নতুন করে লকডাউনে প্রচণ্ড কষ্টে আছি। পুলিশ ভ্যান চালাতে দিচ্ছে না।’
শহরের বড় বিপণি বিতানসহ অধিকাংশ দোকান বন্ধ রয়েছে। তবে কিছু ব্যবসায়ী দোকানের সাটার কিছুটা নামিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন ক্রেতার আশায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেলেই দোকান বন্ধ করে দিচ্ছেন।
সাতক্ষীরা পুলিশ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মানুষ একেবারে সচেতন নয়। লকডাউনে বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ মানছে না। রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। পুলিশ পাহারা চৌকি বসানো হয়েছে। তারপরও নানা অজুহাতে মানুষ বাইরে বের হচ্ছে। তারপরও লকডাউন সফল করার চেষ্টা চলছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বলেন, লকডাউন নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ১২টি অভিযান পরিচালনা করে ৪৯টি মামলায় ৫৪ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সবাই আন্তরিক না হলে শুধু লকডাউন দিয়ে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো কঠিন হবে।
Comments