করোনা চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতালে অতিরিক্ত ব্যয় খতিয়ে দেখবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিত্সার জন্য অতিরিক্ত খরচের বিষয়টি সরকার খতিয়ে দেখবে বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন। আজ সোমবার ঢাকায় জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বেসরকারি হাসপাতালে করোনা রোগীদের অতিরিক্ত চিকিত্সা ব্যয়ের বিষয়ে সরকার কি ব্যবস্থা নিয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব যেন তারা (বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান) করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত বিল করতে না পারে।'
এর আগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংসদে এক বক্তব্যে বলেন, 'একটি সাধারণ বেডে রোগীর জন্য একদিনে ব্যয় হয় ১৫ হাজার টাকা এবং আইসিইউ বেডের জন্য প্রতিদিন ব্যয় ৫০ হাজার টাকা।'
এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হেলথ ইকোনমিক্স ইউনিটের গবেষণায় উঠে এসেছে বলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান।
গত ১ মে প্রকাশিত হেলথ ইকোনমিক্স ইউনিটের একটি সমীক্ষার ফলাফলে বলা হয়, সরকারি হাসপাতালের সাধারণ বেডে রেখে একজন করোনা রোগীর চিকিত্সার জন্য গড়ে এক লাখ ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়। আর, রোগী আইসিইউতে গেলে চিকিৎসা ব্যয় চার লাখ আট হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
তবে, বেসরকারি হাসপাতালে অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবার তুলনায় করোনা চিকিত্সা ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বেশি বলে সমীক্ষায় দেখা যায়।
ব্যয়ের মূল পার্থক্য রোগ নির্ণয় ও ওষুধের খরচের ক্ষেত্রে পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় কোভিড-১৯ চিকিত্সার প্রোটোকল না মানার কারণে ব্যয়ের এ পার্থক্য হয়েছে
বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে, করোনা চিকিত্সার ব্যয় সাধারণ বেডে প্রায় দুই লাখ ৪২ হাজার টাকা এবং আইসিইউতে ব্যয় প্রায় পাঁচ লাখ নয় হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
গবেষণায় দেখা গেছে, বেসরকারি হাসপাতালে একজন করোনা রোগীর ওষুধে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়। এটা মোট ব্যয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ এবং সরকারি হাসপাতালের প্রায় দ্বিগুণ।
রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতালের চেয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ব্যয় প্রায় সাত গুণ বেশি বলেও ওই গবেষণায় উঠে আসে।
আরও পড়ুন:
করোনা রোগী প্রতি সরকারের ব্যয় ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, বেসরকারিতে দ্বিগুণ
Comments