‘খেলতে গিয়ে’ ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু: কোয়ান্টাম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

বান্দরবানের কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের দুই শিক্ষার্থীর ‘খেলতে গিয়ে’ মৃত্যুর ঘটনায় কোয়ান্টাম কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে নিহত এক শিক্ষার্থীর স্বজন কোয়ান্টামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
বান্দরবানের লামায় কোয়ান্টাম কসমো স্কুল। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের দুই শিক্ষার্থীর ‘খেলতে গিয়ে’ মৃত্যুর ঘটনায় কোয়ান্টাম কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে নিহত এক শিক্ষার্থীর স্বজন কোয়ান্টামের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।

আজ বুধবার লামা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. আলমগীর দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাতে কোয়ান্টাম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মামলাটি করেছেন নিহত ছাত্র শ্রেয় মোস্তাফিজুর রহমানের (১৩) এক আত্মীয়।’

‘আমরা দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি,’ যোগ করেন তিনি।

শ্রেয় মোস্তাফিজের বাবা মো. বুলবুল মোস্তাফিজ ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমার সন্তানকে কোয়ান্টাম স্কুলে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। ছেলে আমাদেরকে নির্যাতনের কথা বলতে চাইলে তাকে শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিত।’

‘সোমবার সাড়ে ১১টায় ঘটনা ঘটলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাকে বিকেল ৩টার পর ফোনে এমন মর্মান্তিক সংবাদ জানিয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘কোয়ান্টাম কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণেরই আমার সন্তানকে হারিয়েছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

করোনা মহামারির মধ্যে গত সোমবার কোয়ান্টাম কসমো স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। নিহত অপর শিক্ষার্থী হলেন আব্দুল কাদের জিলানী (১২)।

তারা কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শরিফুল আলম।

শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘কোয়ান্টাম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মামলার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি।’

গত সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় স্কুল মাঠে জমা থাকা পানিতে খেলতে গিয়ে মাঠের পাশে থাকা পানি নির্গমনের পাইপে পড়ে এই দুই শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয় বলে দাবি করেন শরিফুল আলম।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মাত্র ১৩ ইঞ্চি পাইপের মধ্যে কীভাবে ঢুকে ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রের মৃত্যু হলো তা গভীরভাবে তদন্ত করার প্রয়োজন।’

 

 

আরও পড়ুন:

বান্দরবানের কোয়ান্টাম কসমো স্কুলের ২ শিক্ষার্থীর ‘খেলতে গিয়ে’ মৃত্যুর অভিযোগ

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

13h ago