আইন ভাঙলেই যেতে হবে ভ্রাম্যমাণ ট্রাফিক স্কুলে
চালকদের আইন মানাতে ভিন্ন রকম উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে চালু করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ ট্রাফিক স্কুল। সড়কে কেউ ট্রাফিক আইন ভাঙলেই শাস্তি হিসেবে ট্রাফিক স্কুলের ক্লাসে বসতে হবে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামিম অভিনব এই স্কুলটি চালু করেছেন।
শামিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘প্রবাসজীবন ছেড়ে দেশে ফিরে অনেকেই সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাদের মধ্যে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা কম। রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই লক্ষ করছি, চালকরা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালান। আইন ভাঙার প্রবণতা এত বেশি যে শাস্তি দিয়ে কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছিল না। ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে। প্রতিকার খুঁজতে গিয়ে ট্রাফিক স্কুল করার চিন্তা মাথায় আসে।’
তিনি বলেন, ‘শুরুর দিকে চালকরা মনে করতো এই স্কুলে ক্লাসে বসে থাকার অর্থ হলো সময় নষ্ট করা। তাদের ভেতরে এক ধরনের অসন্তোষ দেখা যেত। এখন তারা বুঝতে পেরেছে ট্রাফিক আইন মেনে চললে সবারই লাভ। এক রকম প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ পরবর্তী মূল্যায়নের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ভালো ফলাফল করলে পুরস্কার দেওয়া হয়। গত বছরের আগস্ট মাসে স্কুল চালুর পর থেকে প্রায় ১১০০ চালক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।’
ভ্রাম্যমাণ ট্রাফিক স্কুল থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন কাপ্তাই এলাকার অটোরিকশাচালক মো. বয়ান। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আগে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে এতটা জানতাম না। ভ্রাম্যমাণ ট্রাফিক স্কুল থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এখন নিজে সচেতন হয়েছি। ট্রাফিক আইন মেনে সবারই সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
Comments