মোহামেডানকে উড়িয়ে দিল রূপগঞ্জ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শুভাগত হোমের ফিফটিতে কোনো মতে শতরানের কোটা পার করেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এরপর লড়াই করতে প্রয়োজন ছিল বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং। কিন্তু সে কাজটি ঠিকঠাকভাবে করতে পারেননি সাকিব আল হাসানরা। এলোমেলো বোলিংয়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কাজটা আরও সহজ করে দেন। ফলে মোহামেডানকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোহামেডানকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে রূপগঞ্জ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১৩ রান করে মোহামেডান। জবাবে ১১ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় রূপগঞ্জ।

অথচ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগ টি-টোয়েন্টিতে এবার শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল মোহামেডান। প্রথম তিন ম্যাচেই জয়। কিন্তু এরপর যেন কি হয়ে যায় দলটির। বাজে ব্যাটিং-বোলিংয়ের ধারাবাহিকতায় উল্টো টানা তিন ম্যাচে হেরে বসে তারা।

শুধু বেজ ব্যাটিং আর এলোমেলো বোলিংই নয়, ফিল্ডিংও মানসম্পন্ন ছিল না মোহামেডানের। সহজ ক্যাচ ছাড়ার পাশাপাশি বেশ কিছু বাড়তি রানও দিয়েছে তারা। খেলোয়াড়দের শারীরিক ভাষাতেও ছিল না জয়ের তাগিদ। তাই সাদামাটা লক্ষ্যে এদিন দেখে শুনেই ব্যাট করতে থাকে রূপগঞ্জ। দুই ওপেনার মেহেদী হাসান মারুফ ও পিনাক ঘোষের ওপেনিং জুটিতেই আসে ৮৯ রান। এরপর মারুফ আউট হলে বাকি কাজ সাব্বির রহমানকে নিয়ে শেষ করেন পিনাক ঘোষ।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন পিনাক। ৫১ বল ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন এ ওপেনার। মারুফের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। ৪৬ বলে ৬টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। সাব্বিরের অপরাজিত থাকেন ১৪ রানে। মোহামেডানের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নিয়েছেন মাহমুদুল হাসান।

এদিন সকালে টসটা জিতেছিল মোহামেডান। কিন্তু ব্যাটিং বেছে নেন অধিনায়ক সাকিব। আর ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রূপগঞ্জের বোলারদের তোপে পড়ে দলটি। ২৭ রানেই শেষ টপ অর্ডারের ৬ উইকেট। তখন দেশের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। অধিনায়ক সাকিব, নাদিফ চৌধুরী ও মাহমুদুল হাসানরা খুলতে পারেননি রানের খাতাও। ব্যর্থ পারভেজ হোসেন ইমন, শামসুর রহমান ও ইরফান শুক্কুরও।

তবে সপ্তম উইকেটে আবু হায়দার রনিকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন শুভাগত হোম। চলতি আসরে ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না তার। তবে এদিন দলের খুব প্রয়োজনীয় সময় জ্বলে ওঠেন এ অলরাউন্ডার। রনিকে নিয়ে গড়েন মূল্যবান ৭০ রানের জুটি। পাশাপাশি রানের গতি বাড়ানোর কাজটাও করেন। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় দলটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেন শুভাগত। মুক্তার আলীর বলে আউট হওয়ার আগে ৩২ বলের ইনিংসে ১টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন তিনি। ২৫ বলে ১৫ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন রনি। এছাড়া আর কেবল ইমনই (১০) দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পেরেছেন। রূপগঞ্জের পক্ষে ২টি করে উইকেট পেয়েছেন সোহাগ গাজী, মোহাম্মদ শহীদ, নাঈম ইসলাম ও কাজী অনিক।

Comments

The Daily Star  | English

Fakhrul urges EC to work swiftly for fair, acceptable election

Prof Yunus deserves thanks for instructions over polls preparations

59m ago