আবাহনীর জয়ে উজ্জ্বল নাঈম-আফিফ-সাইফউদ্দিন
কাজের কাজটা আগেই করে দিলেন আবাহনী লিমিটেডের ব্যাটসম্যানরা। মোহাম্মদ নাঈম ও আফিফ হোসেনের ব্যাটে বড় স্কোরই গড়ে দলটি। এরপর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বাকি কাজটা সহজ হয়ে যায় আবাহনীর। শেষদিকে বৃষ্টি বাগড়া দিলেও ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগ টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চম জয় তুলে নিল তারা।
বৃহস্পতিবার সাভারের বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে বৃষ্টি আইনে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ২৫ রানে হারিয়েছে আবাহনী। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৩ রান করে আবাহনী। জবাবে ১৭ ওভারে ৫ উইকেটে ১২৩ রান তোলার পর বৃষ্টি নামে। পরে বৃষ্টি আইনে আবাহনীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
এদিন আবাহনীর হয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন আফিফ হোসেন। আর ওপেন করতে নেমেই ছন্দে ফেরার আভাস দেন তিনি। মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এনে দেন উড়ন্ত সূচনা। স্কোর বোর্ডে ১১১ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। তাতেই বড় স্কোরের ভিত পেয়ে যায় আবাহনী। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও একেএস স্বাধীনের ছোট ছোট ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ করে দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম। ৫০ বলে সমান ৪টি করে চার ও ছক্কায় এ রান করেন এ ওপেনার। আফিফ খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস। ৪২ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। শাইনপুকুরের পক্ষে ৪ ওভার বল করে ২৩ রান খরচ করে ৪টি উইকেট নিয়েছেন তানভির ইসলাম।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো করতে পারেনি শাইনপুকুর। শুরুতেই খালি হাতে ফেরেন ওপেনার রহমত আলী। এরপর অবশ্য ছোট ছোট জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকে দলটি। কিন্তু রানের গতি সে অর্থে বাড়াতে পারেনি দলটি। ফলে শেষ ১৮ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৬১ রানের। কিন্তু এরপর বৃষ্টি নামলে ডি-এল পদ্ধতিতে নির্ধারিত হয় ম্যাচের ফলাফল।
মাহিদুল ইসলাম অংকন অবশ্য শেষ দিকে রানের গতি বাড়াতে চেষ্টা করেছিলেন। ১৫ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। মেরেছিলেন ৪টি ছক্কা। কিন্তু এরপরই বৃষ্টি বাঁধা সৃষ্টি করে। তবে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন তৌহিদ হৃদয়। ৩২ বলে ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। তানজিদের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান।
আবাহনীর হয়ে ৩ ওভার বল করে ১২ রান খরচ করে ৩টি উইকেট পান সাইফউদ্দিন।
Comments