৮ মাসে ৭ বার বাড়ল জেট ফুয়েলের দাম

আবারও দাম বেড়েছে জেট ফুয়েলের। এর ফলে বিমান যাত্রীদের গুনতে হতে পারে বাড়তি ভাড়া। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড আজ এই দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।

আবারও দাম বেড়েছে জেট ফুয়েলের। এর ফলে বিমান যাত্রীদের গুনতে হতে পারে বাড়তি ভাড়া। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড আজ এই দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। 

গত বছরের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত আট মাসে সাত বার জেট ফুয়েলের দাম বাড়িয়েছে পদ্মা অয়েল কোম্পানি। কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর পর দেশের এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য একে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

এয়ারলাইন্স সংশ্লিষ্টরা জেট ফুয়েলের দাম বৃদ্ধিকে ‘হঠকারী ও অনৈতিক’ আখ্যা দিয়ে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এতে দেশের এয়ারলাইন্সগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকতে বাড়তি সমস্যার সম্মুখীন হবে। 

বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা জানান, এই সিদ্ধান্তের ফলে উড়োজাহাজ ভাড়া অপরিহার্যভাবে বেড়ে যাবে এবং শেষে পর্যন্ত যাত্রীদেরই অতিরিক্ত বাড়ার বোঝা মাথায় নিতে হবে।  

পদ্মা অয়েল কোম্পানির সবশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিপিসি প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম তিন টাকা বাড়ায়। গত ৮ জুন থেকে বাড়তি দাম কার্যকর হয়। 

বিমানপরিবহন সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম ছিল ৪৬ টাকা। এখন এই দাম ৬৩ টাকা। অর্থাৎ গত আট মাসে দাম বেড়েছে ৩৭ শতাংশ।

গত ডিসেম্বর মাসেও প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম ছিল ৪৮ টাকা এরপর জানুয়ারিতে হয় ৫৩ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৫৫ টাকা, মার্চে ৬০ টাকা ও এপ্রিলে করা হয় ৬১ টাকা। অবশ্য গত মে মাসে প্রতি লিটারে এক টাকা করে কমানো হয়।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার জিএম মো. কামরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে জেট ফুয়েলের দাম বাড়ানোর পিছনে বিপিসির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।’

তিনি বলেন, ‘জ্বালানির দাম বাড়ার কারণে টিকিটের দাম বাড়ানো ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। ফলে শেষ পর্যন্ত যাত্রীদেরই অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হবে।’

তিনি জানান, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দেশের উড়োজাহাজ খাত প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইন্ডাস্ট্রি এটি।

কামরুল ইসলাম জানান, এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোর পরিচালন ব্যয়ের প্রায় ৪০ থেকে ৪৬ শতাংশই ব্যয় হয় শুধু জ্বালানি বাবদ।

পর্যটন ও হোটেল ব্যবসাও উড়োজাহাজ খাতের ওপর নির্ভর করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জ্বালানি খরচের সঙ্গে সমন্বয় করে টিকিটের দাম না বাড়ালে আমরা দেউলিয়া হয়ে যাব এবং বিমানপরিবহন খাতও ভেঙে পড়বে।’

তিনি বলেন, ‘যদি উড়োজাহাজ খাত টিকে না থাকে, তাহলে দেশের হোটেল ও পর্যটনকেন্দ্রগুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

The morale issues of Bangladesh Police

There is no denying that for a long time, the police have been used as a tool of repression in the subcontinent

3h ago