শামিম-ইমরান ঝড় থামিয়ে শেখ জামালকে জেতালেন জিয়া

কদিন আগেই ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ঝড়ো এক ইনিংস খেলে প্রাইম দোলেশ্বরকে জয় এনে দিয়েছিলেন ইমরানউজ্জামান ও শামিম হোসেন পাটোয়ারি। শুক্রবার আবারও ঝড় তুলেছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু তারপরও দলকে জেতাতে পারেননি তারা। জিয়ার রহমানের ঝড়ো ফিফটি ও তানবির হায়দারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয় পায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
ছবি: বিসিবি

কদিন আগেই ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ঝড়ো এক ইনিংস খেলে প্রাইম দোলেশ্বরকে জয় এনে দিয়েছিলেন ইমরানউজ্জামান ও শামিম হোসেন পাটোয়ারি। শুক্রবার আবারও ঝড় তুলেছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু তারপরও দলকে জেতাতে পারেননি তারা। জিয়ার রহমানের ঝড়ো ফিফটি ও তানবির হায়দারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয় পায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

সাভারের বিকেএসপিতে শুক্রবার প্রাইম দোলেশ্বরকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৬৬ রান তোলে দোলেশ্বর। জয় তুলতে শেষ বল পর্যন্ত খেলতে হয় শেখ জামালকে।

মোহামেডানের বিপক্ষে ইনিংস সংক্ষিপ্ত করায় ইমরানের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন শামিম। তবে এদিন নেমেছেন স্বাভাবিক পাঁচ নম্বরে। আর নেমেই শুরু থেকে আগ্রাসী এ ক্রিকেটার। মাত্র ১৯ বলে খেলেছেন ৪৯ রানের হার না মানা এক ইনিংস। ২টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ তরুণ

আর ওপেনিংয়ে নেমে ৪৬ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেছেন ইমরান। এ রান করতে মেরেছেন সমান ৪টি করে চার ও ছক্কা। সাইফ হাসানের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। তাতেই বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় দলটি।

লক্ষ্য তাড়ায় শেখ জামালের হয়ে এদিন ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন নাসির হোসেন। সৈকত আলীর সঙ্গে ৩২ রানের জুটি গড়ে ভালো কিছুর ইঙ্গিতও দিচ্ছিলেন। তবে এ জুটি ভাঙতেই বড় চাপে পড়ে দলটি। ১ রানের ব্যবধানে হারায় ৩টি উইকেট। ১০ রান যোগ করতে হারায় আরও একটি।

এরপর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন তানবির হায়দার। ৩০ রানের জুটি গড়েছিলেন। এরপরই ফিরে যান অধিনায়ক। পরে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তানবির। গড়েন ৮৩ রানের জুটি। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি।

তানবির এক প্রান্ত ধরে রাখেন। অপর প্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিং রানের গতি বাড়ানোর কাজ করেন জিয়া। ১৯তম ওভারে জিয়াকে আউট করার পর এনামুল হক জুনিয়রকে তুলে দোলেশ্বরের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। তবে শেষ ব্যাটসম্যান সোহরাওয়ার্দী শুভ ভালোই দৃঢ়তা দেখান। ফলে শেষ বলে রোমাঞ্চকর জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন জিয়া। ৩৩ বলে ১টি চার ও ৫টি ছক্কায় এ রান করেন এ অলরাউন্ডার। ৩৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তানবির। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। শেষ দিকে ৫ বলে ৯ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন শুভ। দোলেশ্বরের পক্ষে ২৪ রানের খরচায় ৪টি উইকেট পান রাব্বি। ২টি উইকেট এনামুল জুনিয়রের।

দিনের অপর ম্যাচে ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৯ রান করে ডিওএইচএস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ রাকিব। জবাবে ৫ বল বাকি থাকতেই জয় পায় শাইনপুকুর। তানজিদ হাসানের অপরাজিত ৭৯ রানে ভর করে সহজ জয় নিশ্চিত করে দলটি।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago