ভাসানচর থেকে পালানো আরও ১২ রোহিঙ্গা কোম্পানীগঞ্জে আটক
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালানো ১২ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুকে জেলার কোম্পানীগঞ্জে আটক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরএলাহী দক্ষিণ ঘাট থেকে তাদের আটক করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রথমে তাদের আটক করে। পরে খবর পেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ আটককৃত রোহিঙ্গাদের থানায় নিয়ে আসে। তাদের মধ্যে তিন জন নারী, তিন জন পুরুষ ও ছয় জন শিশু।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটককৃত রোহিঙ্গাদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
সূত্র জানায়, ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৪ নম্বর ক্লাস্টারের ওই রোহিঙ্গারা দালালের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার রাতে অবৈধ পথে নৌকাযোগে পালিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাত্রা করে। দালাল ও ইঞ্জিন চালিত নৌকার মাঝি কৌশলে তাদের শুক্রবার সকালে কোম্পানীগঞ্জের চরএলাহী ইউনিয়নের দক্ষিন পাড় ঘাটে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি রোহিঙ্গাদের ভাষা ও পোশাক দেখে তাদেরকে আটক করে থানায় খবর দেয়।
যোগাযোগ করা হলে ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আটককৃত রোহিঙ্গারা ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ২৪ নম্বর ক্লাস্টারের বাসিন্দা ছিল। আটককৃতরা ছাড়াও আরও কিছু রোহিঙ্গা ভাসানচর থেকে পালিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত ৮ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত ১৫ দিনে ১৬ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর থেকে পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে ১৪ জন রোহিঙ্গা পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে আটক হয়ে ভাসানচরে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় কক্সবাজার থেকে এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। এরপর, আরও পাঁচ ধাপে মোট ১৮ হাজার ৩৪৭ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন:
ভাসানচর থেকে ১৫ দিনে পালিয়েছে ১৬ রোহিঙ্গা, আটক ১৪
দালালরা মালয়েশিয়ার কথা বলে সাগর ঘুরিয়ে মিরসরাই নামিয়ে দিল রোহিঙ্গাদের
Comments