‘মানবীয় ভুলের’ জন্য ক্ষমা চাইলেন সাকিব

বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল পদ্ধতিতে মোহামেডানের ৩১ রানের জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন সাকিব।
Shakib Kicks stumps
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথমবার লাথি মেরে স্টাম্প এলোমেলো করে দিলেন। দ্বিতীয়বার স্টাম্প তুলে নিয়ে মাটিতে আছাড় মারলেন। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেডের ম্যাচে মেজাজ হারিয়ে এমন অবিশ্বাস্য কাণ্ড ঘটানোর পর সাকিব আল হাসান চাইলেন ক্ষমা।

শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দেন সাকিব। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডিএল পদ্ধতিতে মোহামেডানের ৩১ রানের জয়ের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভেরিফায়েড পেজে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান সাকিব।

বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার তার আচরণকে মানবীয় ভুল হিসেবে উল্লেখ করে ও ভবিষ্যতে এমন কিছুর পুনরাবৃত্তি না করার প্রত্যাশা জানিয়ে লিখেছেন, ‘প্রিয় ভক্ত ও অনুসারীরা, মেজাজ হারিয়ে ফেলায় ও ম্যাচ নষ্ট করায় আমি সবার কাছে ভীষণভাবে দুঃখিত, বিশেষ করে, যারা বাড়িতে বসে খেলা দেখছিলেন। আমার মতো একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের এভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত নয়। কিন্তু কখনও কখনও দুর্ভাগ্যক্রমে সবকিছুর বিপরীতে এমন ঘটনা ঘটে যায়। এই মানবীয় ভুলের জন্য আমি দুই দল, তাদের ম্যানেজমেন্ট, টুর্নামেন্টের অফিশিয়াল ও আয়োজক কমিটির কাছে ক্ষমা চাই। আশা করি, ভবিষ্যতে এমন কিছুর পুনরাবৃত্তি করব না। ধন্যবাদ ও ভালোবাসা সবার প্রতি।’

ঘটনার সূত্রপাত লক্ষ্য তাড়ায় নামা আবাহনীর ইনিংসের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে। স্ট্রাইকে থাকা মুশফিকুর রহিম বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি। বল তার প্যাডে লাগার পর এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন করে পুরো মোহামেডান দলই। কিন্তু আম্পায়ার ইমরান পারভেজ সাড়া না দিলে মুহূর্তেই বাঁ পায়ে লাথি মেরে স্টাম্প উপড়ে ফেলেন সাকিব। পরে আম্পায়ারের সঙ্গে চরম রাগান্বিত ভঙ্গিতে কিছুক্ষণ ধরে কথা বলেন তিনি। তখন সতীর্থরা তাকে শান্ত করে অন্যদিকে নিয়ে যান।

khaled mahmud
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলের পর। বৃষ্টি শুরু হলে আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান খেলা বন্ধের নির্দেশ দিয়ে মাঠকর্মীদের দিকে কাভার নিয়ে আসার ইশারা করেন। তখন মিডঅফে ফিল্ডিং করা সাকিব দৌড়ে গিয়ে আচমকা তিনটি স্টাম্পই তুলে ছুঁড়ে মারেন উইকেটে। এই দফায়ও আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

বৃষ্টির বেগ বাড়তে থাকায় মাঠ ছেড়ে সবাই যখন ফিরছিলেন ড্রেসিং রুমে, তখন গ্যালারিতে থাকা কিছু দর্শক তাকে উদ্দেশ্যে করে কিছু বলায় তাদের দিকে হাত উঁচিয়ে মারার ভঙ্গী করেন সাকিব। তা দেখে আবাহনীর ড্রেসিং রুম থেকে দৌড়ে তেড়ে আসেন দলটির কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন। সাকিবও এগিয়ে যান। পরে মোহামেডানের ক্রিকেটার শামসুর রহমান শুভ গিয়ে মাহমুদকে শান্ত করেন। আর সাকিবকে থামান তার কয়েকজন সতীর্থ।

পরে অবশ্য সাকিব ও মাহমুদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। মাহমুদ ভেবেছিলেন, তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বাজে কিছু বলেছিলেন সাকিব।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago