ভূমধ্যসাগর থেকে ১৬৪ বাংলাদেশি উদ্ধার
লিবিয়া থেকে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগর থেকে ৪৩৯ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার ও আটক করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে ১৬৪ জন বাংলাদেশি রয়েছেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছে লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস।
গত বৃহস্পতিবার লিবিয়ার কোস্ট গার্ডের দুটি জাহাজ পৃথক অভিযান চালিয়ে সাগরের ভাসমান রাবারের নৌকা থেকে এই অভিবাসপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করে। তাদের সবাই আফ্রিকা ও এশিয়ার নাগরিক।
লিবিয়ান নৌবাহিনীর মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উদ্ধারের পর তাদের জাহাজ দুটি রাজধানী ত্রিপোলির নৌ-ঘাঁটিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে আসে। পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য তাদের অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বর্তমানে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের শেল্টার ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে বাংলাদেশিদের খোঁজ নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স গাজী মো. আসাদুজ্জামান কবির।
চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত লিবিয়ার কোস্ট গার্ড নয় হাজার ২১৬ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার সময় উদ্ধার করে। গত বছরের একই সময়ে উদ্ধার হয়েছিল সাত হাজার ১০০ জন।
গত সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বরাষ্ট্রবিষয়ক কমিশনার ইলভা জোহানসনের সঙ্গে বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন লিবিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খালিদ মাজন।
গত বৃহস্পতিবার ত্রিপোলি সফররত ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব বেন ওয়ালেস সঙ্গে বৈঠকে লিবিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খালিদ মাজন জানিয়েছেন, লিবিয়ায় এখন নানা দেশের প্রায় সাত লাখ অভিবাসনপ্রত্যাশী রয়েছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী হাইকমিশন ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার অভিবাসী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ পৌঁছেছেন। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭৩ শতাংশ বেশি।
এ ছাড়া, সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে গত জানুয়ারি থেকে গত ২১ মে পর্যন্ত ৭০০’র বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন। গত বছর মারা গিয়েছিলেন ১,৪০০ জন।
গত ১৮ মে তিউনিসিয়ার উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় ৬৮ বাংলাদেশিকে উদ্ধার করেছিল দেশটির নৌবাহিনী। ওই ঘটনায় এখনও ১৩ বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছে। তারা সবাই লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাচ্ছিলেন।
এজাজ মাহমুদ: ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক
Comments