সাকিবের শাস্তি কমানোর আবেদন মোহামেডানের
খেলার মাঝে অসদাচরণ করে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ ও পাঁচ লাখ জরিমানার মধ্যে পড়া সাকিব আল হাসানের শাস্তি কমাতে চায় তার ক্লাব মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শাস্তি কমানোর আবেদন এরমধ্যে বিসিবিতে জমা দিয়েছে তারা।
মোহামেডানের ডিরেক্টর ইন চার্জ অফ এডমিনিস্ট্রেশন কাজী ফিরোজ রশিদ এমপির স্বাক্ষরিত চিঠিতে এমন আর্জি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বরাবর এই আবেদন করেছে তারা। বিসিবি প্রধান নিজেও ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডানের সদস্য।
চিঠিতে তারা অনুরোধ করেছে, সাকিবের বিরুদ্ধে আনিত অর্থদণ্ড বহাল রেখে তার তিন ম্যাচ নিষিদ্ধের বিষয়টি যেন প্রত্যাহার করা হয়। মোহামেডান জানায়, মাঠে এমন অসংলগ্ন আচরণ করায় সাকিব গভীরভাবে অনুতপ্ত। তাই তার শাস্তি যেন কমিয়ে দেওয়া হয়।
শাস্তি কার্যকরের একটা বিকল্প পথও বলে দিয়েছে তারা। যদি শাস্তি কমানো না হয় তাহলে যেন তা পরে কার্যকর করা হয়, এই অনুরোধও তাদের।
শুক্রবার আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের বিরুদ্ধে জোরালো এলবিডব্লিউ আবেদন করেছিলেন সাকিব। আম্পায়ার দ্রুতই তা নাকচ করে দিলে আরও দ্রুততার সঙ্গে লাথি মেরে স্টাম্প ভেঙ্গে দেন সাকিব। নজিরবিহীন এই কাণ্ডের পরও থামেনি তার উগ্রতা।
৫.৫ ওভার পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আবার খেপে যান তিনি। এবার আম্পায়ারের কাছে এসে স্টাম্প উপড়ে আছাড় মারেন। অশ্রাব্য গালিগালাজ করেন। মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আবাহনীর ড্রেসিংরুমের দিকে অশ্লীল ভঙ্গিও করেন। এসময় খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে বিবাদে জড়াতে দেখা যায় তাকে।
অথচ বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হওয়ার সময় ডি/এল মেথডের হিসেবে এগিয়ে ছিল মোহামেডানই। তখন আর খেলা না হলেও বৃষ্টি আইনি মোহামেডান ১৬ রানে জিতত।
এমন উগ্র আচরণ করে ম্যাচ শেষে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে ক্ষমা চান এই তারকা। আবাহনীর ড্রেসিং রুমে গিয়েও তাকে ক্ষমা চাইতে দেখা গেছে। আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে শনিবার ঘোষিত হয় সাকিবের শাস্তি। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) প্রধান কাজী ইনাম আহমেদ জানান, ‘কোড অব কন্ডাক্টের লেভেল থ্রি ভঙ্গ হওয়ায় তাকে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
সাকিব দোষ স্বীকার করে সাজা মেনে নেওয়ায় আর শুনানির প্রয়োজন হয়নি।
Comments