অস্ত্র নিয়ে মহড়ার পর আজ সেই অস্ত্র জমা দিলেন ২ আওয়ামী লীগ নেতা

ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিতে জড়িত দুই ঠিকাদার পাবনা সদর থানায় তাদের বৈধ অস্ত্র জমা দিয়েছেন। আজ রোববার বিকেলে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Pabna_CCTV1_13June21.jpg
ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতিতে জড়িত দুই ঠিকাদার পাবনা সদর থানায় তাদের বৈধ অস্ত্র জমা দিয়েছেন। আজ রোববার বিকেলে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজ ও ছবিতে থেকে দেখা গেছে, গত ৬ জুন দুপুরে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ আর খান মামুন এবং জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালুর নেতৃত্বে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল আগ্নেয়াস্ত্র হাতে গণপূর্ত ভবনে আসেন। তারা অস্ত্র হাতে অফিসের বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করেন এবং কিছুক্ষণ পরে বের হয়ে চলে যান।

Pabna_CCTV_13June21.jpg
ছবি: সংগৃহীত

এই প্রসঙ্গ টেনে মাসুদ আলম বলেন, গণমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশ পাওয়ার পরে অস্ত্র প্রদর্শনকারী দুই ঠিকাদার এ আর খান মামুন ও শেখ লালু আজ সকালে পাবনা সদর থানায় তাদের দুটি লাইসেন্সকৃত শটগান থানায় জমা দিয়েছেন। অস্ত্র জমা দেওয়ার ঘটনায় পাবনা সদর থানায় দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অস্ত্র বৈধ হলেও জনমনে ভীতির সৃষ্টি হতে পারে এমনভাবে অস্ত্র প্রদর্শনের সুযোগ নেই। অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে এ ঘটনায় পূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো মামলা বা অভিযোগ করা হয়নি। পাবনা পূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি অফিসের বাইরে ছিলাম। তবে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখেছি, অস্ত্র হাতে অনেকে এসেছেন। তারা আমাকে সরাসরি বা ফোনে কোনো হুমকি দেননি, কথাও হয়নি। তাই, আমরা লিখিত অভিযোগ করিনি। যেহেতু তারা কোনো অনিষ্ট করেননি, সেহেতু এ ব্যাপারে কোনো মামলা করার পরিকল্পনা গণপূর্ত বিভাগের নেই।’

এ বিষয়ে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল রহিম লাল ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনো এ ধরনের অনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ড সমর্থন করে না। আর এটি দলীয় কোনো ব্যাপার নয়।’ 

অস্ত্র হাতে গণপূর্ত বিভাগে প্রবেশের কারণ জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ও ঠিকাদার ফারুক ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘এটি একটি ভুলবশত ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। গণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদারি কাজের আমি জড়িত না। অন্য জায়গায় যাওয়ার পথে ওই অফিসে গিয়েছিলাম। তবে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য ছিল না।’

এ আর খান মামুন সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের সঙ্গে টাকা ছিল। ফলে নিজেদের নিরাপত্তার জন্য আমরা সঙ্গে অস্ত্র রেখেছিলাম। আমাদের ভুল হয়েছে সরকার অফিসে প্রবেশ করা। কিন্তু কোনো ধরনের অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা সেখানে যাইনি।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago