আ.লীগ থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিতে শেখ হাসিনার নির্দেশ
আওয়ামী লীগ থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
সূত্র থেকে জানা যায়, গতকাল শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে তিনি আওয়ামী লীগে বিতর্কিত নেতাকর্মীদের একটি তালিকা তৈরি করে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৈঠকে দলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও বিরোধ নিয়ে আলোচনা হলে ক্ষোভ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি দলীয় নেতাদের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ কোন্দল সমাধান করতে কিংবা বিরোধ না মেটানো গেলে সংশ্লিষ্ট কমিটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
বৈঠকে ফরিদপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং কুমিল্লা-৫ উপনির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বাছাই সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনার পর অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়টি সামনে আসে।
বৈঠকে কুমিল্লা-৫ আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবুল হাশেম খানকে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত হয়।
বুড়িচং আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি হাশেম খান ২০১৯ সালে বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখলাখ হায়দার তাকে পরাজিত করেন।
অপরদিকে, শাহ আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আগা খান মিন্টুকে ঢাকা-১৪ আসনে এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমানকে সিলেট-৩ আসনে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
ওই তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেতে মোট ৯৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে ঢাকা-১৪ আসনের জন্য ৩৪টি, সিলেট-৩ আসনের জন্য ২৫টি এবং কুমিল্লা-৫ আসনের জন্য ৩৫টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে।
আগামী ২৮ জুলাই ওই তিনটি আসনে উপনির্বাচন হবে।
সংসদ সদস্যদের মৃত্যুর কারণে ওই তিনটি সংসদীয় আসন শূন্য হয়ে যায়। গত ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ, ৪ এপ্রিল ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক এবং ১৪ এপ্রিল কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু মারা গেছেন।
গতকাল বৈঠকে ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে জেলার সভাপতি সুবল সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হেসেনের মধ্যে বিরোধ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের প্রস্তাব করা পৃথক দুটি কমিটিই বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিরোধ সমাধানের জন্য তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের ফরিদপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশনা দেন। প্রয়োজনে দুই নেতাকে ঢাকায় ডেকে পাঠাতে বলেন। সেইসঙ্গে, বিরোধ নিষ্পত্তি করতে অনিচ্ছুক কোনো নেতার বিরুদ্ধে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী দলের নেতাদের আরও বলেন, শিগগির দেশে আরও করোনাভাইরাসের টিকা আসছে। সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে করোনাভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
Comments