চাঁপাইনবাবগঞ্জে আজ কমেছে করোনার সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১০.৫৯ শতাংশ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ধীরে ধীরে করোনা সংক্রমণের হার কমে আসছে। গত ২৫ মে থেকে দুই দফায় ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন এবং ৮ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করায় সংক্রমণের হার কমছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতাল। ছবি: স্টার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ধীরে ধীরে করোনা সংক্রমণের হার কমে আসছে। গত ২৫ মে থেকে দুই দফায় ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন এবং ৮ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করায় সংক্রমণের হার কমছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০.৫৯ ভাগ। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন দু’জন।

এর আগে, গতকাল ২৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। যার শতকরা হার ছিল ১১.২৬ ভাগ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, গত ১ জুন ৩৬৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল, এদের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১৯৬ জনের এবং শনাক্তের হার ছিল ৬৩.৭০ শতাংশ। ঈদের আগে আক্রান্তের হার ছিল শতকরা ১৪ শতাংশ। ঈদের পরে হয় ১৯ শতাংশ। গত ১৩ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত আক্রান্তের হার ছিল ৩৯ শতাংশ। এছাড়া, গত ৭ জুন আক্রান্তের হার ছিল ২৯.২১ ভাগ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. নাহিদ ইসলাম জানান, ধীরে ধীরে জেলায় করোনা সংক্রমণের হার কমছে। ২৫ মে থেকে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন এবং ৮ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ করায় সংক্রমণের হার কমছে।

তিনি বলেন, ‘আগামী কিছুদিনের মধ্যে সংক্রমণর হার আরও কমবে বলে ধারণা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পরিসংখ্যান দেখলেই বোঝা যাবে সংক্রমণের হার কমছে মানে, কমিউনিটির মধ্যে ট্রান্সমিশনও কমছে।’

তিনি জানান, করোনা ইউনিটে শয্যা সংখ্যা ১৮ থেকে ৭২ করা হয়েছে। বর্তমানে ওই ইউনিটে ২০ জন চিকিৎসক ও ৩২ জন নার্স কর্মরত আছেন। রোগীদের সর্ব্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা প্রদানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

বর্তমানে জেলা হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৭২ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছেন ৭২ জন বলে জানান তিনি।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১২ জুন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১৩৩ জন। বর্তমানে জেলায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২৬৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৮০০ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৮ জন। এদের মধ্যে সদরের ৩৭ জন, শিবগঞ্জের ২১ জন, গোমস্তাপুর ও নাচোলের ৪ জন করে এবং ভোলাহাট উপজেলার ২ জন।

জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মমিনুল হক জানান, করোনা রোগীর কারণে হাসপাতালে অন্যান্য রোগীদের চিকিৎসাসেবা যেন ব্যহত না হয় সে ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টি আছে। জরুরি রোগী সেবা প্রদান ও ভর্তি কার্যক্রম চালু আছে। আজ রবিবার হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৭২ জন রোগী ভর্তি আছেন।

এ দিকে, কঠোর বিধিনিষেধের কারণে জেলার বাইরে থেকে কেউ ভিতরে এবং ভিতর থেকে জেলার বাইরে যেতে পারছেন না। সরকারি কাজ, জরুরি সেবা ও এ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত।

চাঁপাইনবাবগঞ্জর পুলিশ সুপার আব্দুর রকিব জানান, জেলার প্রবেশপথে চেক পোষ্ট রয়েছে। কেউ যেন প্রবেশ করতে বা বের হতে না পারে সে জন্য সার্বক্ষণিক পুলিশ নজরদারি করছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago