জবানবন্দিতে ৩ জনকে হত্যার দায় স্বীকার এএসআই সৌমেনের

ট্রিপল মার্ডারের অভিযুক্ত এএসআই সৌমেন কুমার রায় কুষ্টিয়ার আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন। আজ দুপুরে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
সৌমেন কুমার রায়। ছবি: সংগৃহীত

ট্রিপল মার্ডারের অভিযুক্ত এএসআই সৌমেন কুমার রায় কুষ্টিয়ার আদালতে দোষ স্বীকার করেছেন। আজ দুপুরে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিমের আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নিশিকান্ত সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে জবানবন্দির কথা নিশ্চিত করেছেন। জবানবন্দি শেষে বিচারক সৌমেনকে কারাগারে পাঠানোর নিদের্শ দেন।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফরহাদ হোসেন খান জানান, তিন জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সৌমেনকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, আদালতে সৌমেন নিজেকে নিহত আসমার স্বামী বলে দাবি করেন। তিনি জানান যে তিনি আসমাকে দুবছর আগে বিয়ে করেন।

সৌমেন বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ করেন বলে আদালতকে জানান। সার্ভিস পিস্তল ও বুলেট নিয়ে আসার কথাও জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।

রোববার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহরের কাস্টমস অফিসের সামনে সৌমেন প্রকাশ্য গুলি করে হত্যা করে তিন জনকে। নিহতরা হলেন আসমা খাতুন (২৫), তার সাত বছরের ছেলে রবিন ও শাকিল হোসেন (২৮) নামে আসমার এক বন্ধু। সৌমেন রায় খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি মাগুরা জেলায়।

নিহত শাকিলের বাবা মেজবার রহমান সৌমেনকে আসামি করে গতকাল রাতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন। আরেকটি মামলা করেন আসমার মা হাসিনা খাতুন। দুটি মামলাতেই সৌমেনকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।

নিহত আসমার বাড়ি কুমারখালীর নাটুরিয়া গ্রামে। তবে তারা কুষ্টিয়া শহরে থাকতেন। আর শাকিলের বাড়ি কুমারখালীর সাঁওতা গ্রামে। তিনি বিকাশের স্থানীয় একজন এজেন্ট।

এএসআই সৌমেনকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা জানিয়েছেন খুলনার পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান। তিনি জানান, সৌমেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফুলতলা থানা থেকে ছুটি না নিয়েই সৌমেন গতকাল সকালে কুষ্টিয়ায় গিয়েছিলেন। বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ ও আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, সৌমেন রায় ২০১৫ সালে কনস্টেবল থেকে এএসআই পদে উন্নীত হন। পরে ২০১৬ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় যোগ দেন। সেখান থেকে জেলার অন্যান্য থানায়ও কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ মিরপুর থানার হালসা ক্যাম্পে ছিলেন। এরপর বাগেরহাট হয়ে খুলনার ফুলতলা থানায় যোগ দেন।

আরও পড়ুন:

এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ৩ জনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ

Comments

The Daily Star  | English

Let's work together as a team, Prof Yunus tells business leaders

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus today urged business leaders to come forward and work together as one team to boost productivity and capacity

36m ago