আজ থেকে চুয়াডাঙ্গার সীমান্ত-সংলগ্ন দামুড়হুদায় ১৪ দিনের লকডাউন

করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গার সীমান্ত-সংলগ্ন দামুড়হুদা উপজেলায় পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার সীমান্ত-সংলগ্ন দামুড়হুদা উপজেলায় আজ ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া ১৪ দিনের লকডাউন চলাকালে উপজেলার প্রধান সড়কের দৃশ্য। ছবিটি তোলা হয়েছে আজ সকাল পৌনে ৯টায়। ছবি: স্টার

করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গার সীমান্ত-সংলগ্ন দামুড়হুদা উপজেলায় পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে আগামী ১৪ দিন এ লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর থাকবে।

গতকাল সোমবার দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ সংক্রান্ত জরুরি সভায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে গত ২ জুন প্রশাসন এই উপজেলার সীমান্তবর্তী কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে সাতটি গ্রাম ও নাটুদহ ইউনিয়নে দুইটি এলাকা লকডাউন করেছিল।

পরে গত ৬ জুন কুড়–লগাছী ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের আরও নয়টি গ্রাম লকডাউন করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে আজ সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘স্বাস্থ্য বিভাগ সংক্রমিত এলাকায় অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প বসিয়ে নমুনা পরীক্ষা করবে।’

তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনকৃত এলাকায় জরুরি পরিসেবা ছাড়া সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকান বন্ধ থাকবে। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার খোলা থাকবে।

দামুড়হুদা উপজেলা থেকে কেউ বাইরে যেতে পারবেন না। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন। করোনায় আক্রান্তের বাড়ি লকডাউনের পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ ও খাবার দেওয়া হবে। এ ছাড়া, শ্রমিক ও দিনমজুরদেরও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

‘দামুড়হুদা উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা একেবারে সীমান্ত ঘেঁষা,’ উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, ওই এলাকায় ভারত থকে আসা চুলের ওপর ভিত্তি করে অনেকগুলো চুল প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। প্রতিনিয়তই সেখানে দুই দেশের লোকজনেরই অবৈধভাবে অবাধ যাতায়াত রয়েছে। এ কারণেই ওই এলাকায় সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বেড়েছে।

চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ২৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৭১ জন।

নতুন আক্রান্ত ৫৭ জনের মধ্যে ৩৫ জনই দামুড়হুদা উপজেলার বাসিন্দা।

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut in Ashulia yesterday amid worker unrest along the industrial belts, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

4h ago