মাছ চুরির দায়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

dead body
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

কুষ্টিয়ায় খোকসা উপজেলায় মাছ চুরির অভিযোগে এক যুবককে রাতভর পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠেছে খোকসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বিশ্বাস ও তার ৩ ছেলের বিরুদ্ধে।

নিহত জসিম উদ্দিন শেখ (৩০) উপজেলার রতনপুর গ্রামের রওশন আলীর ছেলে।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, পুলিশ ইতোমধ্যে ঐ চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও এক ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে এসেছে।

ওসি বলেন, ‘আজ ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে ঐ চেয়ারম্যান তাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছিলেন যে জসিম উদ্দিন শেখ নামের এক মাছ চোরকে ধরা হয়েছে। তাকে পুলিশে সোপর্দ করতে চান। সেখানে একটি টিম পাঠানো হয়। ঐ টিমের মাধ্যমেই জেনেছি, জসিম উদ্দিন শেখকে অনেক মারধর করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

ওসি আরও বলেন, ‘দ্রুত জসিম উদ্দিনকে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে ভোর পৌনে ৬টার দিকে ভর্তি করানোর পর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার মৃত্যু হয়।’

ঘটনার পরপরই ওসির নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালায় ঐ চেয়ারম্যানের বাড়িতে। কিন্তু, চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

পুলিশ চেয়ারম্যানের স্ত্রী জাহিদা বেগম ও চেয়ারম্যানের ভাতিজা সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত সালাউদ্দিন নিহত জসিমকে মারধরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।

নিহত জসিমের বাবা রওশন ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘চেয়ারম্যানের লোকজন জসিমকে মধ্যরাত ১২টার দিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যানের ভাতিজা সালাউদ্দিন ছিলেন। জসিমের বিরুদ্ধে মাছ চুরির অভিযোগ এনে তাকে অনেক মারধর করা হয়েছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, তিনি চেয়ারম্যানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করে তাকে জানান যে জসিম মাছ চুরি করেনি। কিন্তু, চেয়ারম্যান তাকে উল্টো গালাগাল করেছেন।

ওসি বলেছেন, ‘চেয়ারম্যান, তার তিন ছেলে ও ভাতিজা সালাউদ্দিন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে আমরা জানতে পেরেছি।’

খাকসা উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আশরাফ আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মাথায় ও শরীরে আঘাতের কারণে জসিমের মৃত্যু হয়েছে।’

ওসি জানিয়েছেন, চেয়ারম্যানসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহত জসিমের পিতা থানায় এসেছেন। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

G7 expresses support for Israel, calls Iran source of instability

Israel and Iran attacked each other for a fifth straight day on Tuesday

2h ago