ভাসানচরে ১৫ দিনে ৫ হাজার রোহিঙ্গার ডায়রিয়া, ৩ শিশুর মৃত্যু

নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ১৫ দিনে পাঁচ হাজার জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর।
ভাসানচরে হাসপাতালে শয্যা সংকটে ডায়রিয়া রোগীদের মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গত ১৫ দিনে পাঁচ হাজার জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিন শিশুর।

নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বলছেন তীব্র গরমের পর বৃষ্টি ও রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। পানিবাহিত রোগটি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করছে।

২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর থেকে ছয় ধাপে ১৮ হাজার ৩৪৭ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে আনা হয়েছে। তাদের চিকিৎসার জন্য আছে ২০ শয্যার একটি হাসপাতাল। এর পাশাপাশি ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।

ভাসানচর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. তানভীর আনোয়ার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ২০ শয্যার হাসপাতালে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী ভর্তি থাকে। শয্যার অভাবে হাসপাতালের মেঝে, বারান্দায় রোগীদের রেখে চিকিৎসা চলছে। বহির্বিভাগে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী ডায়রিয়া নিয়ে আসছেন। ১৫ দিনে প্রায় পাঁচ হাজার জন চিকিৎসা নিয়েছেন।

ডা. তানভীর আনোয়ার আরও বলেন, ডায়রিয়ার রোগীদের চিকিৎসায় এখানে আলাদা কোন শয্যা কিংবা ওয়ার্ড নেই। অন্য রোগী ভর্তি না করে শুধু ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দ্রুত রোগী বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে স্যালাইন ও ওষুধের কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। নদী উত্তাল থাকায় ওষুধের চালান ভাসানচরে আসতে দেরি হওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রোহিঙ্গাদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব রয়েছে। এর সঙ্গে তীব্র গরমে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। ওষুধ সংকটের কথা নাকচ করে তিনি বলেন, ওষুধের কোন সংকট নেই। স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন গত তিন দিন হাতিয়ার জনতা ঘাটে গিয়ে ফিরে এসেছেন। মেঘনা নদী উত্তাল থাকায় তারা ওষুধ নিয়ে ভাসানচরে যেতে পারছেন না। আবহাওয়া ভালো হলে পর্যাপ্ত ওষুধ ভাসানচর হাসপাতালে পৌঁছে যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

2h ago