আম্পায়ারিং নিয়ে কোনো ক্লাবের কাছ থেকেই অভিযোগ পায়নি বিসিবি
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়রিং নিয়ে সরব আলোচনার মধ্যে তদন্তে নেমে কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অংশ নেওয়া ১২ ক্লাবের অধিনায়ক ও ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেও আম্পায়ারিং নিয়ে আপত্তির কিছু জানতে পারেনি বোর্ড।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বেশ কয়েকটি ইস্যু নিয়ে সাধারণ সভায় বসে বিসিবির কার্যনির্বাহী পর্ষদ। আলোচনায় গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসে প্রিমিয়ার লিগের আম্পায়ারিং ইস্যু। সভা শেষে বেরিয়ে আম্পায়ারিং নিয়ে কোনো অভিযোগ না পাওয়ার কথা জানান বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান।
গত শুক্রবার আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়ে লাথি মেরে স্টাম্প ভেঙে ফেলেন সাকিব আল হাসান। পরে তিনি স্টাম্প তুলেও আছাড় মারেন। এই অসদাচরণের ঘটনায় ৩ ম্যাচ নিষিদ্ধ ও ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এই ক্রিকেটারকে।
পরে আম্পায়ারিং খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করে দেন বিসিবি প্রধান। সেই কমিটি গত চার দিনে ঘটনার তদন্ত করতে কথা বলেছে সবগুলো ক্লাবের সঙ্গে।
বোর্ড প্রধান জানান, কোনো অভিযোগই পাননি তারা, ‘এখন পর্যন্ত যে কয়টা ম্যাচ হয়েছে, সেগুলোর অধিনায়ক, ম্যানেজারকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। প্রতি ম্যাচের শেষে সই করে যে অভিযোগ দেয়, সেখানে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি তারা। এরপরও সবগুলো ক্লাবের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। প্রথমে ৮টি, পরের দিন ৪টি, এভাবে ১২টি ক্লাবের সঙ্গে কথা হয়েছে, অধিনায়কের সঙ্গেও কথা হয়েছে। যেটা হয়েছে যে, এখন পর্যন্ত, একজন অধিনায়ক বা একজন ম্যানেজার কেউ আম্পায়ারিং নিয়ে কোনো অভিযোগ করেনি।’
বিসিবি প্রধান বলেন, অভিযোগ তো নেই-ই, এবারের আসরের আম্পায়ারিংকে সেরা বলেও আখ্যা দিয়েছে ক্লাবগুলো, ‘ওরা বলেছে, এটাও বলেছে যে, তাদের দেখা এটা সেরা টুর্নামেন্ট। কিন্তু একটা ব্যাপার শেষ করা তো সহজ না। তাই বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি সামনে সেই কাজ করবে।’
সাকিবের ঘটনার পর নানান আলোচনা উঠলে প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ রেখে তদন্ত চালাতে চেয়েছিলেন নাজমুল। তবে সেই চিন্তা থেকে সরে এসে ঘটনার গভীর তদন্ত করার কথা জানান তিনি, ‘২০১৭-এর দিকে অনেক অভিযোগ ছিল। এরপর ক্যামেরা বসানো হলো। কিন্তু এবার এটা নিয়ে অভিযোগ আসার পর প্রথমেই বন্ধ করার চিন্তা ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নামের কারণে এই টুর্নামেন্ট বন্ধ করিনি।’
Comments