ওমানের কাছে হেরে বাছাইপর্ব শেষ করল বাংলাদেশ
শক্তিশালী ওমানের কাছ থেকে পয়েন্ট আদায়ের প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১০৪ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির সঙ্গে লড়াইয়ে কোনোভাবেই পেরে উঠল না লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বড় হারে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের যৌথ বাছাইপর্ব শেষ করল জেমি ডের দল।
মঙ্গলবার রাতে কাতারের দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ৩-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। বাছাইয়ে আট ম্যাচ খেলে কোনো জয় পায়নি তারা। দুই ড্রয়ের সঙ্গে তপু বর্মণ-আনিসুর রহমান জিকোরা হেরেছে ছয়টিতে।
২ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থেকে বাছাই শেষ করেছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ২২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষস্থানে রয়েছে আগামী বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার। দুইয়ে থাকা ওমানের পয়েন্ট ১৮। ৭ পয়েন্ট নিয়ে ভারত তৃতীয় ও ৬ পয়েন্ট নিয়ে আফগানিস্তান চতুর্থ হয়েছে।
চোট আর কার্ডের কারণে এ ম্যাচে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, সোহেল রানা, মাশুক মিয়া জনি, বিপলু আহমেদ ও রহমত মিয়াকে পায়নি বাংলাদেশ। তাদের অনুপস্থিতিতে শুরু থেকেই ব্যাকফুটে ছিল বাংলাদেশ। গোটা ম্যাচে রীতিমতো ঝড় বয়ে যায় তপু বর্মণ, ইয়াসিন আরাফাত, রিয়াদুল হাসান রাফি ও রিমন হোসেনকে নিয়ে সাজানো রক্ষণভাগের ওপর দিয়ে। আগের দুই ম্যাচে নজর কেড়ে নেওয়া রাইট-ব্যাক তারিক কাজী খেলেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে।
গোলমুখে মোট ২২টি শট নেয় আগের দেখায় বাংলাদেশকে ৪-১ গোলে হারানো ওমান। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল দশটি শট। ৮০ শতাংশ সময়ে বল পায়ে রাখার পাশাপাশি তারা কর্নার পায় ১৫টি। অন্যদিকে, বাংলাদেশের নেওয়া দুটি শটের একটি ছিল লক্ষ্যে।
ওমানের জয়ের ব্যবধান হতে পারত আরও বড়। দুই অর্ধে তাদের দুটি প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। তাছাড়া, ম্যাচের ১৮তম মিনিটে গোললাইন থেকে হেড করে বল ফিরিয়ে দেন মিডফিল্ডার মোহাম্মদ ইব্রাহিম। জিকো করেন পাঁচটি সেভ। তবে প্রথমার্ধেই সেরা সুযোগটি হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর কর্নারে অরক্ষিত আরাফাতের হেড ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন ওমানের গোলরক্ষক।
পুরো সময়ে চালকের আসনে থাকা ওমান মোহাম্মদ আল গাফরির লক্ষ্যভেদে এগিয়ে যায় ২২তম মিনিটে। ওই গোলের যোগানদাতা খালিদ আল হাজরির পা থেকে আসে পরের দুটি গোল। ৬১তম মিনিটে ডি-বক্সে ফাঁকায় থেকে নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। ৮১তম মিনিটে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসা জিকোকে পরাস্ত করে ব্যবধান আরও বাড়ান তিনি।
Comments