ভাঙন হুমকিতে সারডোবের নবনির্মিত বালুর বাঁধ

বাঁধ রক্ষায় পাউবোর কাজে নেই গতি
ভাঙন হুমকিতে কুড়িগ্রামের সারডোব গ্রামের নবনির্মিত বালুর বাঁধ। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

গেল বছর বন্যায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৫০ মিটার ভেঙে ধরলা নদীর পানিতে প্লাবিত হয় কয়েকটি গ্রাম। তৈরি হয় একটি শাখা নদীর। ক্ষতিগ্রস্ত হয় কয়েক শ পরিবার। বালুতে ঢেকে যায় কয়েক শ বিঘা আবাদি জমি।

চলতি বছরের এপ্রিল ও মে’জুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৫০ মিটার অংশে নির্মাণ করা হয় বালুর বাঁধ। নবনির্মিত এই বালুর বাঁধটিতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। নবনির্মিত বাঁধটি ভাঙন থেকে রক্ষা করতে পাউবো জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করলেও কাজের নেই কোনো গতি। ধরলা নদীর গ্রাস থেকে বালুর বাঁধটি রক্ষা না হলে প্লাবিত হতে পারে সারডোবসহ কয়েকটি গ্রাম।

সারডোব গ্রামের বন্যা ও ভাঙন-কবলিত এলাকার বাসিন্দা গাজিউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গেল কছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য পরিবার। এখনো অনেক পরিবার বসতভিটা হারিয়ে সরকারি রাস্তা ও অন্যের জমিতে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন। পাউবোর কাজের কোনো গতি না থাকায় নবনির্মিত বালুর বাঁধটিও ভাঙন হুমকিতে রয়েছে। বাঁধটি ভেঙে গেলে এবছরও স্থানীয়দের অনেক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’

ভাঙন হুমকিতে কুড়িগ্রামের সারডোব গ্রামের নবনির্মিত বালুর বাঁধ। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

একই গ্রামের বাসিন্দা আউয়াল মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পর্যাপ্ত পরিমাণে জিও ব্যাগ ফেলা না হলে বালুর বাঁধটি ধরলা নদীর গর্ভে চলে যাবে। আমরা আশঙ্কা করছি, বর্ষার আগে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শেষ নাও করতে পারে পাউবো।’ দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে বালুর বাঁধ রক্ষা করে সারডোববাসীকে বন্যা ও ভাঙন থেকে রক্ষার দাবি জানান তিনি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বাহেনুর ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের কোনো গতি নেই। দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলতে বারবার তাগিদ দেওয়া হলেও শুনছে না পাউবো। তবে, বর্ষার আগেই জিও ফেলার কাজ শেষ করা হবে এবং যেকোনো উপায়ে নবনির্মিত বালুর বাঁধটি রক্ষা করা হবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছে।’

কুড়িগ্রাম পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ওমর ফারুক মো. মোক্তার হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সারডোবে নবনির্মিত ১৫০ মিটার বালুর বাঁধ রক্ষায় ৪০ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হবে। চার থেকে পাঁচ হাজার জিও ব্যাগ ইতোমধ্যে ফেলা হয়েছে এবং কাজটি অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তীতে সিসি ব্লক দিয়ে বাঁধটি স্থায়ীভাবে রক্ষা করা হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Election possible a week before Ramadan next year: Yunus tells Tarique

He said it will be possible if preparations completed, sufficient progress made in reforms and judicial matters

1h ago