নোয়াখালীতে ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ১০১
নোয়াখালীতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১২৯ জনে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ১০১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার বিবেচনায় শতকরা ২৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। মোট আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ১০ হাজার।
বৃহস্পতিবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় দুই জন করোনা রোগী মারা গেছেন। জেলার তিনটি পিসিআর ল্যাবে ৩৯৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার মধ্যে সদরে ৬০ জন, বেগমগঞ্জে ১৫ জন, সোনাইমুড়ীতে ৭ জন, চাটখিলে ২ জন, সেনবাগে ৫ জন, কোম্পানীগঞ্জে ৮ জন ও কবিরহাট উপজেলার ৪ জন শনাক্ত হয়েছে।
এ পর্যন্ত জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৭১৫৯ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার শতকরা ৭১ দশমিক ৫০ শতাংশ। আইসোলেশনে আছেন ২৭২৪ জন ও শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫৫ জন রোগী।
এদিকে, জেলা শহর মাইজদীতে প্রশাসনের তৎপরতায় কঠোর লকডাউন চললেও শহরের বাইরে হাট, বাজার, দোকান-পাট ও সড়কে চলাচলকারী লোকজনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার প্রবণতা দেখা গেছে। লকডাউনকৃত ইউনিয়নগুলোর প্রতিটি বাজারে খোলা আছে সব দোকান পাট। লকডাউন অমান্য ও স্বাস্থ্য বিধি না মানায় বুধবার রাত পর্যন্ত লকডাউনকৃত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪ টি মামলায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ২৩ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ জুন থেকে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৭ দিনের বিশেষ লকডাউন ঘোষণা করে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। কিন্তু সংক্রমণ বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় দ্বিতীয় দফায় গত ১২ জুন আরও ৭ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে ওই কমিটি। দুই দফায় লকডাউনের আজ ১৩তম দিন শেষ হলেও নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলায় কমছে না আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন শনাক্তের প্রায় ৪৫ থেকে ৫৫ ভাগ রোগীই পৌরসভা ও সদর উপজেলার।
Comments