ঘরের মাঠে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ড্র ইংল্যান্ডের

ছবি: সংগৃহীত

বলের দখল বেশি ছিল ইংল্যান্ডের। কিন্তু প্রতিপক্ষ শিবিরে কাঁপন ধরালো স্কটল্যান্ডই বেশি। স্বাগতিকদের চেয়ে ২টি শট বেশি নিয়েছে তারা। তবে ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল মিলেনি। গোল করার দারুণ সুযোগ ছিল ইংল্যান্ডেরও। ব্যর্থ তাদের ফরোয়ার্ডরাও। ফলে ড্র মেনেই মাঠ ছাড়তে হয় প্রতিবেশি দুই দেশকে।

লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়।

তবে এ ড্রয়ে নকআউট পর্বের আশা জিইয়ে রাখল স্কটল্যান্ড। দিনের অপর ম্যাচে ক্রোয়েশিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের ম্যাচ ১-১ গোল ড্র হওয়ায় সুযোগটা বেড়েছে তাদের। দুই ম্যাচ শেষে সমান চার পয়েন্ট চেক ও ইংল্যান্ডের। স্কটল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়ার পয়েন্ট ১।

এদিন ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই ইংল্যান্ডকে বড় বাঁচিয়ে দেন জন স্টোন্স। চে অ্যাডামসের জোরালো শট ডি-বক্সে থেকে দারুণ দক্ষতায় ব্লক করেন এ ম্যানচেস্টার সিটি ডিফেন্ডার। সেই স্টোন্সই সাত মিনিট পর দলকে এগিয়ে দিতে পারতেন। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে দারুণ এক হেড নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে।

পরের মিনিটে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে ম্যাসন মাউন্টকে ভালো ক্রস দিয়েছিলেন রহিম স্টার্লিং। তবে মাউন্টের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২৯তম মিনিটে এগিয়ে নেওয়ার দারুণ এক সুযোগ নষ্ট করেন হ্যারি কেইন। রিস জেমসের ক্রস থেকে লাফিয়ে যে হেড নেন এ টটেনহ্যাম হটস্পার্স ফরোয়ার্ড তা লক্ষ্যে থাকেনি।

পরের মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো স্কটল্যান্ডও। কিয়েরেন টিয়ের্নির ক্রস থেকে জোরালো এক শট নিয়েছিলেন স্টিফেন ও'ডোনেল। তবে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ দক্ষতায় তার শট ঠেকান গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। ফলে গোলশূন্য থেকেই বিরতিতে যেতে হয় দুই দলকে।

দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটেই মাউন্টের জোরালো শট স্কটিশ গোলরক্ষক ডেভিড মার্শাল ঝাঁপিয়ে না ঠেকালে এগিয়ে যেতে পারতো ইংল্যান্ড। ৫৫তম মিনিটে হ্যারি কেইনের ক্রস থেকে ইংলিশদের এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল জেমসেরও। কিন্তু তার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। সাত মিনিট পর দারুণ সুযোগ পায় স্কটল্যান্ড। কর্নার থেকে সৃষ্ট জটলা থেকে লিন্ডেল ডাইকসের ভলি একেবারে গোললাইন থেকে হেড দিয়ে ফেরান জেমস।

৭৪তম মিনিটে মাউন্টের বাড়ানো বলে লুক শর কোণাকোণি শট লক্ষ্যে থাকেনি। চার মিনিট পর রবার্টসনের ক্রস ঠিকভাবে ফেরাতে পারেননি স্টোন্স। তার হেড থেকে অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়ে যান অ্যাডামস। জোরালো ভলিও নিয়েছিলেন। কিন্তু বলে পায়ে ঠিকভাবে সংযোগ না হলে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করে দলটি। ম্যাচের যোগ করা সময়ে স্কটিশ ডি-বক্সে বড় জটলা তৈরি হয়েছিল। তবে কোনো বিপদ হয়নি। ফলে ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

1h ago