করোনার হটস্পট রাজশাহী মেডিকেল
করোনার পাশাপাশি অন্যান্য রোগীদের একই ছাদের নিচে চিকিৎসার দ্বৈত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এখন করোনা সংক্রমণের অন্যতম হটস্পটে পরিণত হয়েছে।
হাসপাতালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার পর্যন্ত গত ১১ দিনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে ২৫১ জন রোগীকে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে করোনা ইউনিটে স্থানান্তরিত করেছে।
এই রোগীদের অন্যান্য রোগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে, হাসপাতালে আসার পরে তারা করোনায় সংক্রমিত হয়ে পড়েন। এ কারণে তাদের করোনা ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়। করোনা ইউনিটে কোভিড-১৯-এর সন্দেহভাজনদেরও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১১ দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৩ জন রোগীকে করোনা ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয় এবং বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ৩৮ জনকে স্থানান্তরিত করা হয়।
এই পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
রামেক হাসপাতালের কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোগীরা যখন হাসপাতালে প্রবেশ করে তখন তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সীমিত সুযোগ, সচেতনতার অভাব এবং তাদের পরিচারকদের পাশাপাশি হাসপাতালের কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলার কারণে এমন ঘটনা ঘটছে।
যেমন- ইউসুফ আলী নেফ্রোলজি বিভাগের একটি ওয়ার্ডে এক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন থাকাকালে গত বুধবার রাতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
ইউসুফের জামাতা হজরত আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গত ১০ জুন ৫০ বছর বয়সী এই ব্যক্তিকে কিডনি ও ডায়াবেটিসজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে তাকে করোনার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়।’
আলী আরও বলেন, ‘হাসপাতালে আনার সময় তার কিডনি সমস্যা ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা ছিল না। বুধবার হাসপাতালে এক সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার দিনে তার জ্বর এবং কাশি দেখা দেয়। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং পরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ।’
জহিরুল ইসলাম (৩৫) নিউরোসার্জারি ওয়ার্ডের তিন রোগীর মধ্যে একজন। যাদের বুধবার রাতে করোনার নমুনা পরীক্ষা করে জানা যায় তারাও সংক্রমিত।
তার স্ত্রী হ্যাপি খাতুন জানান, মে মাসের শেষ দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার তাদের বাড়িতে একটি আম গাছ থেকে পড়ে যাওয়ার পর তার স্বামীর দেহের নিচের অংশ অবশ হয়ে যায়। তিন সপ্তাহ ধরে তার স্বামী হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন।
মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. খলিলুর রহমান জানান, তার ওয়ার্ডগুলোতে সবচেয়ে বেশি রোগীদের করোনার ইউনিটে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ওয়ার্ডে আসা বেশিরভাগ রোগীর করোনার কোনো উপসর্গ থাকে না। তারা ডায়রিয়া বা পেট ব্যথা নিয়ে আসে, কিন্তু শেষে দেখা যায় তারা সংক্রমিত হয়েছেন। বেশিরভাগই বাইরে থেকেই সংক্রমিত হয়ে আসেন।’
তিনি জানান, ‘উদ্বেগজনক’ শব্দটি তাদের জন্য এখন কোনো ভিন্ন অর্থ বহন করে না।
‘আমরা উদ্বেগজনক পরিস্থিতির ভিতরেই আছি,’ বলেন এই চিকিৎসক।
হৃদরোগ বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মো. রইস উদ্দিন জানান, হাসপাতালে প্রবেশের সময় সংক্রমিত রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এ জাতীয় পরিস্থিতি রোধ করতে পারত।
সরকারি রামেক হাসপাতালে মোট ৫৬টি ওয়ার্ডে ১২০০ শয্যা আছে। সেখানে রাজশাহী বিভাগের আট জেলা এবং খুলনা বিভাগের অনেক জেলা থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে যান।
গত বছর মার্চে দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে উত্তর অঞ্চলের বৃহত্তম এই হাসপাতালে সাধারণ রোগের কিছু ওয়ার্ড কমিয়ে একটি করোনা ইউনিট খোলা হয়েছে এবং ধীরে ধীরে এটি প্রসারিত করা হয়েছে।
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর করোনা রোগীদের ভিড় সামাল দিতে রামেক হাসপাতালের করোনার ইউনিটে এখন ১১টি ওয়ার্ডে ৩০৯টি শয্যা রয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের চিকিত্সার জন্য ২০ শয্যার আইসিইউ ইউনিটও আছে।
মৃত্যুর সংখ্যা যেভাবে বেড়েছে
গত বছরের মার্চ থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কমপক্ষে ৮৬৬ জন রোগী হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন। তাদে ২৩৬ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। গত বছর জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ১১১ জনের মৃত্যু হয়। এ বছরের মে মাসে করোনা ইউনিটে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২৪। এটাই ছিল এক মাসের সর্বোচ্চ মৃত্যু।
চলতি মাসে সেই রেকর্ডটিও ভেঙে গেছে, কারণ জুনের প্রথম ১৮ দিনে করোনা ইউনিটে ১৯৩ জন রোগী মারা গেছেন। তাদের ৭৯ জনই ছিল করোনা পজিটিভ, বাকিরা করোনা সন্দেহভাজন।
বুধবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, জরুরি বিভাগের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে আগত রোগীদের বহনকারী সারি সারি অ্যাম্বুলেন্স এবং তিন চাকার অটোরিকশা। হাসপাতালের ভিতরে সাধারণ রোগী, করোনা রোগী, করোনা সন্দেহভাজন রোগী এবং তাদের পরিচারকরা করিডোরে ভিড় করে আছেন। সবাই একসঙ্গে চলাচল করছিলেন। লাউডস্পিকারে সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার বিষয়ে মাঝে মাঝে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছিল। তবে, অনেকেরই সেদিকে গুরুত্ব দিতে দেখা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হাসপাতালে কোনো জায়গা আর নিরাপদ নেই। আক্রান্তরা সবখানেই প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।’
বুধবার বিকেলে আড়াই ঘণ্টা হাসপাতালে অবস্থানকালে এই প্রতিবেদক কোনো চিকিৎসক বা নার্সকে করোনার ওয়ার্ডের রোগীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখেননি।
আইসিইউ ইউনিটের সামনে একজন নার্সকে তার শিফট পরিবর্তনে সময় বের হতে দেখা গেছে এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ডে একজন পুরুষ নার্সকে ডাক্তারদের চেম্বারের প্রায় বন্ধ দরজার ফাঁক দিয়ে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে দেখা গেছে।
তবে রোগীদের অন্তত দুজন পরিচারক এই প্রতিবেদককে জানান, তারা জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসক ও নার্সদের আন্তরিকতা পেয়ে থাকেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, একটি তিনতলা ভবনের নিচতলা এবং শীর্ষ তলায় করোনা ওয়ার্ড করা হয়েছে, কিন্তু মাঝে অন্য ওয়ার্ডও আছে। তবে করোনা ওয়ার্ডগুলো ও সাধারণ রোগীদের ওয়ার্ডের যাতায়াতের জন্য কোনো পৃথক প্রবেশ বা প্রস্থানের ব্যবস্থা নেই, যেখানে সংক্রমণের সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।
এই প্রতিবেদক দেখেন যে, সব করোনা ওয়ার্ডগুলো রোগীতে পূর্ণ ছিল এবং কয়েকটি ওয়ার্ডে শয্যার চেয়ে রোগী বেশি হওয়ার কারণে তাদের ওয়ার্ডগুলোর বারান্দায় অবস্থান নিতে হয়েছে। ওয়ার্ডের ভিতরে রোগীদের জন্য হাসপাতালের কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু, বারান্দার রোগীদের পাশে রাখা ছিল অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার, যেগুলোতে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থার তুলনায় কম মাত্রার অক্সিজেন পাওয়া যায়।
একটি ওয়ার্ডের বারান্দায় দেখা যায়, ওই হাসপাতালের একজন নার্স তার ৩৫ বছর বয়সী স্বামীর দেখাশোনা করছিলেন, যাকে করোনার জন্য সেখানে ভর্তি করা হয়েছিল।
স্বামীর পরিচর্যার সময় তার মুখে কোনো মাস্ক ছিল না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমিও সংক্রমিত।’
হাসপাতালের বেশিরভাগ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বলেছেন, করোনা রোগীতে হাসপাতাল ভরে গেছে। ফলে, করোনাভাইরাস করোনার ইউনিট ছাড়িয়ে অন্যান্য ওয়ার্ডে ছড়িয়ে পড়েছে এবং পুরো হাসপাতালটিকে একটি কোভিড হটস্পটে পরিণত করেছে।
পর্যাপ্ত পরীক্ষার অভাবে, কোভিড-১৯-এর হালকা বা উপসর্গহীন সংক্রমিত রোগী এবং হাসপাতালের কর্মীরা হাসপাতালে অনায়াসে প্রবেশ করছেন এবং অন্যকে সংক্রামিত করছেন বলে তারা জানিয়েছেন।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘দুটোই ঘটছে। জেনে বা অজান্তেই সংক্রমিত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন এবং ভর্তি রোগীরা হাসপাতালের কর্মী বা অন্য রোগীদের দ্বারা সংক্রমিত হচ্ছেন। একই হাসপাতালে সব ধরণের রোগীদের চিকিৎসা দিতে গেলে এই ধরনের ঘটনা এড়ানোর কোনো উপায় নেই।’
তিনি জানান, জরুরি বিভাগে প্রবেশের সময় রোগীদের ট্রায়াজ, অর্থাৎ করোনা রোগীদের পৃথকীকরণের একটি ব্যবস্থা চালু আছে। তবে, ব্যবস্থাটি সবসময় কার্যকর হয় না।
তিনি আরও বলেন, ‘যখন রোগীরা (হাসপাতালে) আসেন- আমরা জ্বর, কাশি এবং করোনার উপসর্গধারীদের একটি পৃথক রুমে যেতে বলি। যেখানে পৃথক চিকিৎসক এবং নার্সরা তাদের দেখেন। কিন্তু, অনেক উপসর্গহীন সংক্রমিত রোগীদের ট্রায়াজে পৃথক করা কঠিন। আবার ভর্তি হওয়ার সময় অন্যান্য রোগীদের করোনভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে একই করিডোরে হাঁটতে হয়। আমরা করোনা রোগীদের জন্য আলাদা করিডোরের ব্যবস্থা করতে পারিনি। এটা সম্ভব ছিলনা।’
তিনি বলেন, আদর্শ ব্যবস্থা হলো বিভিন্ন জেলা থেকে আসা রোগীদের কথা বিবেচনা করে পুরো হাসপাতালটিকে করোনার জন্য ডেডিকেটেড ঘোষণা করা।
‘তবে এটি সহজ নয়। কারণ, অন্ত:সত্ত্বা নারীদের সিজারিয়ান অপারেশন কোথায় হবে? হৃদরোগীদের যাদের হাসপাতালে স্থাপিত ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতি দরকার এবং কিডনি রোগীদের যাদের ডায়ালাইসিস প্রয়োজন, তাদের কী হবে? আমরা কোথায় তাদের স্থানান্তর করব? আমরা তাদের তো ফিরিয়ে দিতে পারি না,’ বলেন হাসপাতালটির পরিচালক।
তিনি বলেন, ‘করোনা ইউনিট বাদে বাকি ৪৫টি ওয়ার্ডের প্রায় ৮৯১টি শয্যায় স্ত্রীরোগবিদ্যা, সার্জারি, বার্ন, মেডিসিন, হৃদরোগ, নেফ্রোলজি এবং নিউরো সার্জারির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের রোগীদের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হয়। ইতিমধ্যে আমরা অনেক মুমূর্ষু রোগীকে বাড়িতে চিকিৎসা নিতে বলছি, যাদের সাধারণ সময়ে আমরা হাসপাতালে ভর্তি হতে বলতাম।’
রামেক হাসপাতালের পরিচালক জানান, গত বছর মহামারির প্রথম তরঙ্গ চলাকালীন হাসপাতালে উচ্চবিত্তদের মধ্যে সংক্রামণ দেখা গিয়েছিল। তবে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের করোনা এখন ধনী-দরিদ্র, বৃদ্ধ ও যুবক সবাইকে আক্রান্ত করছে।
ইয়াজদানি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন কৃষক, দোকানদার, শ্রমিকদের ভুগতে ও মারা যেতে দেখছি এবং এটা স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার বিষয়ে তাদের অনীহার কারণে বেশি ঘটছে।’
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে তারা দেখতে পেয়েছেন ৪০ শতাংশ করোনা রোগী স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে থেকে আসছে।
হাসপাতালে প্রবেশের সময় রোগীদের পরীক্ষা করা সবচেয়ে ভাল ব্যবস্থা হতে পারে স্বীকার করে রামেক হাসপাতাল পরিচালক জানান, তারা সীমিত পরীক্ষার সুবিধার কারণে তা করতে পারছেন না।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীতে দুটি আরটি-পিসিআর ল্যাবে প্রতি ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৬০০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানে রাজশাহী ছাড়াও, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা নমুনাও পরীক্ষা করা হয়।
রামেকের পরিচালক অবশ্য জানান, রোগী প্রবেশের সময় র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা যেতে পারে। প্রতিদিন প্রায় ৪০০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। তাদের মধ্যে ৪০ জন করোনা ইউনিটে ভর্তি হন।
এলোমেলোভাবে করোনার ওয়ার্ড স্থাপন সম্পর্কে হাসপাতালের পরিচালক জানান, তাদের পক্ষে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে ওয়ার্ডগুলো আলাদাভাবে সাজাতে হয়েছে এবং হাসপাতালের আলাদা কোনো করোনা ইউনিট করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের সব ওয়ার্ডে আগে অক্সিজেনের প্রয়োজন ছিল না। আমরা একটি করোনা ওয়ার্ড করেছি যেখানে আমরা শয্যাগুলোর সঙ্গে সঠিক মাত্রার অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে পেরেছি।’
তিনি যোগ করেন, ‘টিকা নেওয়ার কারণে চিকিত্সক, নার্স এবং কর্মীদের মধ্যে করোনভাইরাস সংক্রমণ এবার কম হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত দুই মাসে করোনার ইউনিটে কর্মরত ৮৫ জন চিকিৎসক এবং ২০০ নার্সের মধ্যে পাঁচজন চিকিৎসক এবং ২৩ জন নার্স সংক্রমিত হয়েছেন, কিন্তু তাদের সংক্রমণ জটিল আকার ধারণ করেনি।’
Comments