প্রোটিয়া পেসে কাহিল দশা ওয়েস্ট ইন্ডিজের
প্রতিপক্ষকে তিনশোর নিচে আটকে দিয়ে স্বস্তির অবস্থা পেয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে তাদের এই স্বস্তি নিজেরা ব্যাট করতে নামার পরই উবে গেছে। ভিয়ান মুল্ডার, লুঙ্গি এনগিদি, কাগিসো রাবাদা, আনরিক নরকিয়ার সম্মিলিত তোপে ক্যারিবিয়ানরা গুটিয়ে গেছে দেড়শোর আগেই।
সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্ট দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয় ২৯৮ রানে। জবাবে ব্যাট করতে গিয়ে মাত্র ১৪৯ রানে শেষ হয়েছে স্বাগতিকদের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে তাই ১৪৯ রানের বড় লিড পেয়ে গেছে সফরকারীরা।
ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের দলকে অল্প রানে আটকে দিতে মাত্র ১ রানে ৩ উইকেট নেন মুল্ডার, রাবাদা ২৪ রানে ২, এনগিদি ২৭ রানে ২ আর নরকিয়া ৪১ রানে নেন ১ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ ৪৭ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট।
আগের দিনের ৫ উইকেটে ২১৮ রান নিয়ে নেমে বেশি দূর যেতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। দিনের শুরুর দিকে কেমার রোচের শিকার হন মুল্ডার। পরে মহারাজকে নিয়ে রান আনতে থাকেন কুইন্টেন ডি কক। সেঞ্চুরির দিকে ছুটছিলেন ডি কক। জেসন হোল্ডার এসে ১২ রান করা মহারাজকে ছাঁটার পর কাইল মেয়ার্সের মিডিয়াম পেসে কাবু হয়ে যান ডি কক। ১৬২ বলে ৯৬ রান করা কিপার ব্যাটসম্যানের আউটের পর আর বেশিক্ষণ টেকেনি তারা। রাবাদা নেমে ২৩ বলে ২১ করলে তিনশোর কাছে যায় প্রোটিয়ারা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমেই চরম বিপদে পড়ে উইন্ডিজ। ইনিংসের প্রথম বলেই রাবাদার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ব্র্যাথওয়েট।
চতুর্থ ওভারে আরেক ওপেনার কিরন পাওয়েল এলবিডব্লিউ হয়ে যান এনগিদির পেসে। রোস্টন চেজকে তুলে নেন নরকিয়া। ৩০ রানে ৩ উইকেট পড়ে যায়।
এরপর তিনে নামা শেই হোপ দেখান কিছুটা দৃঢ়তা। বোলিং তিন উইকেট নিলেও মূল কাজ ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ মেয়ার্স ফেরেন ১২ রান করে। ৫৪ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর জার্মেইন ব্ল্যাকউডের মধ্যে আসে ৪৩ রানের জুট। থিতু হয়ে বড় ইনিংসের আভাস দেওয়া হোপ ৪৩ করে বোল্ড হয়ে যান এনগিদির বলে।
এরপর হোল্ডার, জশুয়া ডি সিলভারা ছিলেন আশা যাওয়ার মিছিলে। আরেক প্রান্তে তা দেখেছেন ব্ল্যাকউড। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি আউট হন ৪৯ রান করে।
Comments