দুই অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডে জড়িয়ে গেল রোনালদোদের নাম
তারকায় ঠাসা পর্তুগালের স্কোয়াড। সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো তো আছেন-ই। তার সতীর্থদের নামগুলোতেও একবার চোখ বুলিয়ে নিন। পেপে, রুবেন দিয়াস, জোয়াও মোতিনহো, বার্নার্দো সিলভা, ব্রুনো ফার্নান্দেস, দিয়োগো জোতা... অর্থাৎ রক্ষণভাগ থেকে আক্রমণভাগ পর্যন্ত কোথাও নেই দক্ষতা ও সামর্থ্যের কমতি। অথচ তাদের নিয়ে গড়া পর্তুগিজদের নাম-ই কিনা জড়িয়ে গেল অনাকাঙ্ক্ষিত দুটি রেকর্ডে!
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে শনিবার রাতে মৃত্যুকূপ খ্যাত ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচে মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় স্বাগতিক জার্মানির কাছে ৪-২ গোলে হেরেছে পর্তুগাল। শুরুতে তাদেরকে এগিয়ে নিয়েছিলেন রোনালদো। কিন্তু বিরতির আগেই পিছিয়ে পড়ে তারা। চার মিনিটের মধ্যে দুটি আত্মঘাতী গোল করেন রুবেন দিয়াস ও রাফায়েল গেরেরো। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে পর্তুগিজদের লড়াই থেকে ছিটকে দেন কাই হাভার্টজ ও রবিন গোসেনস। পরে রোনালদোর অ্যাসিস্টে জোতা একটি গোল শোধ করলেও ম্যাচে ফিরে আসা হয়নি তাদের।
খেলাধুলার নানা রকমের পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ‘অপ্টা’ জানিয়েছে, কোনো মেজর টুর্নামেন্টে (বিশ্বকাপ অথবা ইউরো) আগে কখনও একই ম্যাচে দুটি আত্মঘাতী গোল খায়নি কোনো ইউরোপিয়ান দল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দিয়াস ও গেরেরোর মাধ্যমে প্রথম দল হিসেবে এমন নজির স্থাপন করেছে পর্তুগাল।
তারা আরও জানিয়েছে, ইউরোর শিরোপাধারী কোনো দল অতীতে কখনও একই ম্যাচে চার গোল হজম করেনি। সেই তিক্ত স্বাদ পর্তুগালকে দিয়েছে জার্মানরা। মেজর টুর্নামেন্টে ৬৭ ম্যাচে এই নিয়ে কেবল দ্বিতীয়বারের মতো চারবার বল ঢুকেছে পর্তুগালের জালে। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেই ম্যাচেও তাদের প্রতিপক্ষ ছিল জার্মানি!
উল্লেখ্য, হাঙ্গেরিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে ইউরো শুরু করা রোনালদোদের নকআউটের টিকিট পাওয়া নিয়ে রয়েছে সংশয়। ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে গ্রুপের তৃতীয় স্থানে। নিজেদের শেষ ম্যাচে আগামী বুধবার রাতে হাঙ্গেরির বুদাপেস্টের ফেরেঙ্ক পুসকাস স্টেডিয়ামে তারা মোকাবিলা করবে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ফরাসিরা আছে তালিকার শীর্ষে। ৩ পয়েন্ট পেলেও পর্তুগিজদের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে থেকে দুইয়ে আছে জার্মানি। তলানিতে থাকা হাঙ্গেরির পয়েন্ট ১।
Comments