সৈকতের ফিফটি, সোহানের বিস্ফোরক ব্যাটিং
নড়বড়ে শুরুর পর দারুণ ফিফটিতে প্রাইম ব্যাংককে শক্ত পুঁজি পাইয়ে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় নেমে শেখ জামাল ধানমন্ডির মূল নায়ক সৈকত আলি। ঝড় ব্যাটিংয়ে ফিফটি করেছেন তিনিও। শেষ ৫ ওভারের সমীকরণ মেলাতে বিস্ফোরক ইনিংস এসেছে নুরুল হাসান সোহানের ব্যাট থেকে।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির সুপার লিগের ম্যাচে প্রাইম ব্যাংককে ৭ উইকেটে হারিয়েছে শেখ জামাল। আগে ব্যাট করে মিঠুনের ফিফটি আর রকিবুল হাসানের কার্যকর ঝড়ে ১৬৪ রান করেছিল প্রাইম। ১১ বল আগে ওই রান পেরিয়ে জিতেছে শেখ জামাল।
দলকে জেতাতে ৩৬ বলে ৬ চার, ৩ ছক্কায় সৈকত করেন ৬০ রান। তিনে নামা ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৪৪ রান। শেষ দিকে মাত্র ১৭ বলে ৪৪ করেন সোহান।
১৬৫ রানের বড় লক্ষ্য দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ আশরাফুলকে হারায় শেখ জামাল। প্রথম বলে চার মেরে শুরু করে আশরাফুল শরিফুল ইসলামের বলে স্টাম্পে টেনে হন বোল্ড। ৪ বলে মাত্র ৫ রান করেছেন তিনি।
এরপরই ইমরুলকে নিয়ে ম্যাচ জেতানো জুটি আনেন সৈকত। মোস্তাফিজুর রহমানকে লং অন দিয়ে ছক্কা মারার পর পুল করে চার, সোজা ড্রাইভেও চার মারেন তিনি। থিতু হতে সময় নেওয়া ইমরুল পরে রান বাড়াচ্ছিলেন। তবে ২০ রানে তার সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন রুবেল মিয়া। জীবন পেয়েছেন সৈকতও। ৩৮ রানে তার ক্যাচ ফেলে দেন অলক কাপালি। দ্বিতীয় উইকেটে এসে ১০০ রানের জুটি।
জীবন পেয়ে ফিফটি তুলে ৬০ রানে গিয়ে থেমেছেন সৈকত। ৪৪ করা ইমরুল আউট হন অফ স্পিনার নাহিদুলের বলে। এরপরই শুরু হয় সোহানের তাণ্ডব। শরিফুলকে পুল করে পাঠান গ্যালারিতে। মোস্তাফিজকে স্কুপ করে পার করেন সীমানা। রুবেলের বল প্রায় সুইপের মতো খেলে মারেন বিশাল ছয়।
১৭ বলের ইনিংসে ২ চারের পাশাপাশি ৪ ছক্কা মেরেছেন এই কিপার ব্যাটসম্যান।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে তৃতীয় ওভারে রনি তালুকদারকে হারায় প্রাইম। আরেক ওপেনার রুবেল মিয়া পারেননি ঝড় তুলতে। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ছিলেন ধীর। ২৭ রান করতে তিনি লাগিয়েছেন ২৮ বল।
তবে সব পুষিয়ে দেন মিঠুন। দারুণ ব্যাট করতে থাকা এই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে যোগ দিয়ে উত্তাল হয়ে উঠে অভিজ্ঞ রকিবুল হাসানের ব্যাটও। চতুর্থ উইকেটে তারা আনেন ৭৩ রান। ৪২ বলে ৬৭ করে অপরাজিত থাকেন মিঠুন। মাত্র ১৯ বলে ৩৪ করেন রকিবুল।
তবে সৈকত-সোহানদের সেরা নিয়ে এই রান হয়নি যথেষ্ট।
Comments