মুনিমের ঝড়, মুশফিকের ফিফটির পর বিধ্বস্ত মোহামেডান
চোট কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে লিটন দাসকে নিষ্প্রভ রেখে ফের জ্বলে উঠলেন মুনিম শাহরিয়ার। তার ঝড়ের পর দারুণ ফিফটিতে মুশফিকুর রহিম দলকে নিয়ে গেলেন চূড়ায়। আবাহনীর বিশাল পুঁজির জবাবে দাঁড়াতেই পারল না মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির সুপার লিগে প্রথম খেলায় বড় জয় পেল আবাহনী। প্রথম রাউন্ডে মোহামেডানের কাছে হারা আবাহনী এবার মোহামেডানকে ৬০ রানে হারিয়ে শোধ তুলল। ফিরল শিরোপার দৌড়েও।
আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৯৩ করে আবাহনী। জবাব দিতে নেমে ৪২ রানে ৬ উইকেট হারানো মোহামেডান করতে পেরেছে কেবল ১৩৩ রান।
এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই তালগোল হারিয়ে ফেলে মোহামেডান। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের প্রথম ওভারে কোন রান করার আগেই হারিয়ে বসে দুই উইকেট। অভিষেক মিত্র আর শামসুর রহমান দুজনেই ফেরেন শূন্য রানে।
তিনে নেমে ইরফান শুক্কুর দুই জীবন পেয়ে রান বাড়াচ্ছিলেন। ১৮ বলে ২৭ কর ইরফানের আউটের পর ফের ধস নামে মোহামেডান ইনিংসে। কোন রান না করেই ফিরে যান নাদিফ চৌধুরী ও শুভাগত হোম। ৫০ রানে যাওয়ার আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা মোহামেডান ম্যাচ থেকেও ছিটকে যায়।
এরপর আটে নেমে রান বাড়াতে থাকেন আবু হায়দার রনি। জেতার কোন পরিস্থিতি না থাকলেও তিনি তুলে নেন ফিফটি। তার ফিফটিতে তিন অঙ্ক পেরিয়ে হারের ব্যবধান কমায় মোহামেডান। ৪২ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৫৩ করে অপরাজিত থাকেন আবু হায়দার।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে যাওয়া আবাহনীর ঝড়ো শুরু আসে মুনিমের ব্যাটে। কাভার ড্রাইভে চার মেরে তার শুরু। চার মারেন স্ট্রেট ড্রাইভে। লফটেড কাভার ড্রাইভের পর পুল করেও রান বের করেন। প্রতি ম্যাচেই ইম্পেক্ট রান করা এই ডানহাতি তরুণই বেধে দিয়ে যান আবাহনীর বড় রানের সুর।
প্রথম ১১ ম্যাচে চোটের কারণে খেলতে পারেননি লিটন। সুপার লিগে ফেরার ম্যাচে স্মরণীয় হয়নি। কব্জির চোটে থাকা এই ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন ৭ বলে ৪ রান করে।
তিনে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত ১৭ বলে করে যান ২৭। পাঁচে নেমেছিলেন নাঈম শেখ। শুরুতে থিতু হতে সময় নেওয়া এই বাঁহাতি ১৮ বলে করেন ২৪।
চারে নেমে অধিনায়ক মুশফিকই খেলাটা ধরে রাখেন। শেষ পর্যন্ত টিকেছিলেন তিনি। শেষ দিকে দ্রুত রান আসে তার সৌজন্যেই। মাত্র ৩২ বলে ৮ চার ১ ছক্কায় ৫৭ করে অপরাজিত থাকেন আবাহনী অধিনায়ক।
Comments