প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর

ডেইলি স্টারে প্রতিবেদনের পর টাকা ফেরত পেল দুটি পরিবার

বান্দরবানের থানচিতে নতুন ঘরের সামনে মং সানু মারমা ও তার স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

দ্য ডেইলি স্টারে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বান্দরবানের থানচি উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রকল্প কর্মকর্তাকে দেওয়া টাকা ফেরত পেয়েছে অন্তত দুটি পরিবার। তাদের ঘর তৈরির কাজও শেষ হয়েছে।

আরেকটি পরিবার এখন পর্যন্ত টাকা ফেরত না পেলেও অসম্পূর্ণ ঘরের কাজ শেষ করার প্রক্রিয়া চলছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের জন্য গরু বিক্রি করে ও জমি বন্ধক রেখে এলাকার এক ঠিকাদারের মাধ্যমে বলিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া অং মারমা ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামকে  ১৭ হাজার থেকে ৩৪ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়ার অভিযোগ করেছিল পরিবারগুলো।

এ বিষয়ে প্রকল্প কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছিলেন, সরকারের বরাদ্দ দেওয়া অর্থে ঘর নির্মাণ করা যাচ্ছিল না। তাই চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলাপ করেই কারো কারো কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন তারা।

বিষয়টি নিয়ে গত ১২ জুন দ্য ডেইলি স্টারে ‘প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের জন্য গরু বিক্রি, জমি বন্ধক রেখে টাকা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত প্রতিবেদনটি নজরে আসার পর এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেন থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী। ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি অসম্পূর্ণ ঘরগুলোর কাজ শেষ করারও উদ্যোগ নেন।

ক্রংক্ষ্যং পাড়ার ষাটোর্ধ্ব মং সানু মারমা ঘরের জন্য পালিত গরু বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, ‘বালু সরবরাহকারী মামুনকে দেওয়া টাকা সে ফেরত দিয়েছে। ঘরের অসম্পূর্ণ কাজও শেষ করে দিয়েছে। আমরা এখন খুব খুশি।’

একইভাবে মংম্যা চিং পাড়ার ক্য চিং থোয়াই মারমা ওই ঠিকাদারকে ১৭ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় মামুন (ঠিকাদার) আমাদের টাকা ফেরত দিয়েছে। ঘরের কাজও শেষ হয়েছে।’

এ জন্য দ্য ডেইলি স্টারকে ধন্যবাদ জানান ক্য চিং থোয়াই মারমা।

অবশ্য ঘরের জন্য ৩৪ হাজার টাকা দেওয়া উবা থোয়াই মারমার স্ত্রী মেনুচিং মারমা জানান, এখন পর্যন্ত টাকা ফেরত না পেলেও তাদের ঘর তৈরির কাজ চলছে।

এ বিষয়ে ইউএনও  আতাউল গনি ওসমানী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ডেইলি স্টারে সংবাদ প্রকাশের পর আমি দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পেরেছি। এমন অসহায় মানুষদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কথা জানতে পেরে আমারও খুব খারাপ লেগেছে।’

পাশাপাশি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন ওসমানী।

 

আরও পড়ুন:

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের জন্য গরু বিক্রি, জমি বন্ধক রেখে টাকা

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

13h ago