রুবেল মিয়ার ঝড়ে মোহামেডানকে হারাল প্রাইম ব্যাংক

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির সুপার লিগের ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক জিতেছে ৫ উইকেটে। সোমবার সন্ধ্যায় শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে মোহামেডান করেছিল ১৫৪ রান। ৫ বল আগে ওই রান পেরিয়ে জিতেছে প্রাইম।
Rubel Mia
৪০ বলে ৬৫ রান করার পথে রুবেল মিয়া। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

পারভেজ হোসেন ইমনের বিস্ফোরক শুরুর পর শেষ দিকে কার্যকর ঝড়ে দলকে দেড়শো পার করেছিলেন শুভাগত হোম। কিন্তু রান তাড়ায় তাণ্ডব শুরু করেন রুবেল মিয়া। তার ঝড়ে খেলা হয়ে গিয়েছিল সহজ। শেষ দিকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জেতার পরিস্থিতি তৈরি করেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। কিন্তু আবু হায়দার রনির খরুচে বোলিংয়ে কপাল পুড়ে তাদের।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির সুপার লিগের ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক জিতেছে ৫ উইকেটে। সোমবার সন্ধ্যায় শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে মোহামেডান করেছিল ১৫৪ রান। ৫ বল আগে ওই রান পেরিয়ে জিতেছে প্রাইম।

এই জয়ের পর ২০ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনীকে টপকে শীর্ষে উঠে গেছে এনামুল হক বিজয়ের দল। দলকে জেতাতে ৪০ বলে ৬৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেছেন রুবেল।

১৫৫ রান তাড়া করতে নেমেই ঝড় তুলেন রুবেল। আগের ম্যাচগুলোতে আগ্রাসী ব্যাট করা রনি তালুকদার উলটো পড়ে যান আড়ালে। ১০ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে রনি ছিলেন মলিন।

এরপর বিজয়কে এক পাশে রেখে দ্রুত রান আনতে থাকেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে আসে ৬৪ রানের জুটি। তাতে বিজয়ের অবদান মাত্র ১৪। শুভাগতর বলে বিজয় স্টাম্পিং হওয়ার পর খেলায় ফিরতে থাকে মোহামেডান। খানিক পর আসিফ হাসানের বাঁহাতি স্পিন ক্যাচ দিয়ে আউট হন রুবেল।

রকিবুল হাসানকে নিয়ে এগুচ্ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ওভারপ্রতি ৬ রানেরও কম নেওয়ার চাহিদা ছিল তাদের। কিন্তু আচমকা কিছু ডট বল বাড়িয়ে দেয় চাপ। শুভাগত আর আসিফ মিলে তৈরি করেন সেই চাপ। তাতে কাজ হয় দারুণভাবে। ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে যান মিঠুন। নাহিদুল ইসলামেরও হয় একই দশা।

রানের চাপ বাড়তে থাকে। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২০ রান। কিন্তু আবু হায়দার রনি ১৯তম ওভারে সর্বনাশ করে দেন মোহামেডানের। ওই ওভারেই বাঁহাতি পেসার দিয়ে দেন ১৯ রান! ৪ ওভার বলে করে তিনি দেন সব মিলিয়ে ৫৪ রান।

তার এই বাজে বোলিংই কাল হয় মোহামেডানের। বাকি বোলাররা দারুণ করলেও আর খেলা নিজেদের দিকে নিতে পারেনি ঐতিহ্যবাহী দলটি।

এর আগে টস ব্যাট করতে গিয়েই বিস্ফোরক ব্যাটিং শুরু করেন পারভেজ। তরুণ এই বাঁহাতি ওপেনার মেরেছেন ৫ ছক্কা। বাঁহাতি স্পিনার মনির হোসেনের বলে দুটি, অফ স্পিনার নাহিদুলের বলে একটি। আর দুটি মেরেছেন তার যুবদলের সতীর্থ শরিফুল ইসলামের বলে। সেই দুই ছয়ই ছিল দেখার মতো। এক্সট্রা কাভার দিয়ে তেড়েফুঁড়ে পাঠিয়েছেন গ্যালারিতে। পরে মিড উইকেট দিয়ে মেরেছেন আরেকটি।

মোস্তাফিজুর রহমানের বলে তার বিস্ফোরক দারুণ এক ক্যাচে থামান শরিফুলই। এরপরই কিছুটা খেই হারায় মোহামেডান। ইরফান শুক্কুর নেমে রান আনছিলেন। কিন্তু থিতু হওয়া এই কিপার ব্যাটসম্যানের সমাপ্তি রান আউটে। ৬ষ্ঠ উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়ে খেলায় ফেরান শুভাগত-মাহমুদুল হাসান। ১৫ বলে ২ চার, ১ ছক্কায় ২৫ করে আউট হন শুভাগত। ২৯ বলে ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদুল।

তাদের এনে দেওয়া পুঁজি কাজে লাগানোর মতো বোলিং-ফিল্ডিং করতে পারেনি মোহামেডান।

 

 

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Price hike of essentials: Poor, middle class in a tight corner

Harunur Rashid, a retired government employee, was taken aback by the steep price rise of okra at the capital’s Karwan Bazar yesterday.

6h ago