গাজীপুরে আটকে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীবাহী যান, দুর্ভোগে যাত্রীরা

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরের সীমান্ত এলাকা জৈনাবাজার পুলিশ চেকপোস্টের সামনে থেকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় তোলা ছবি। ছবি: স্টার

গাজীপুর জেলার সীমান্ত এলাকা জৈনাবাজার ইউটার্নে ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী যানবাহন আটকে দেওয়া হচ্ছে। তবে, পণ্যবাহী যান, রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও পোশাক শ্রমিক বহনকারী গাড়ীগুলোকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাতটায় গাজীপুর ও ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী জৈনাবাজার পয়েন্টে সরেজমিন এসব চিত্র দেখা গেছে।

তবে, যাত্রীবাহী যানবাহন আটকে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন গাজীপুর জেলার বাইরে থেকে আসা যাত্রীরা। চালক ও যাত্রীদের অনেকেই বলছেন লকডাউনের ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার কারুয়া ফুলবাড়িয়া গ্রামের মো. ওয়ালী উল্লাহ তার বাবা মো. রুহুল আমীনকে নিয়ে ঢাকার ক্যান্সার হাসপাতালে রওনা হয়েছেন। সকাল সাতটায় ময়মনসিংহের শেষ সীমানা জামিরদিয়া এলাকায় পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে তার মতো অনেক যাত্রীকে গাড়ী থেকে নামিয়ে গাড়ি উল্টো ঘুরিয়ে দিচ্ছেন।

জৈনাবাজার ইউটার্নে ভোর ৬টা থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহী যানবাহন আটকে দেওয়া হচ্ছে। ছবি: স্টার

ওয়ালীউল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজই তার বাবার কেমো দেওয়ার নির্ধারিত দিন। যেভাবেই হোকে ঢাকা যেতে হবে। কিন্তু, উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না।

তাসলিমা আক্তার ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে দুই সন্তান ও প্রয়োজনীয় হালকা জিনিসপত্রসহ গাজীপুরের বোর্ডবাজারের উদ্দেশে বাসে উঠেন। সকাল সাতটায় গাজীপুরের সাীমান্ত এলাকা জৈনাবাজার সড়কের ইউটার্নে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয় এবং বাস আবার উল্টো চলে যায়। কিন্তু, সন্তান ও জিনিসপত্র নিয়ে ত্রিশ কিলোমিটিার পথ কীভাবে যাবেন তা নিয়ে তিনি চিন্তিত।

সৌখিন পরিবহনের চালক মো. সোহেল জানান, লকডাউন থাকলেও গাড়ি অনেকদিন যাবত চলছে। কিন্তু, আজ গাজীপুরে কোনো যাত্রীবাহী পরিবহন প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।

জয় হীরা পরিবহনের চালক আব্দুল মান্নান জানান, তিনি ময়মনসিংহ থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। গাজীপুরের সীমান্তে জৈনা বাজার ইউটার্নে পুলিশের চেকপোস্টে গাড়ি আটকিয়ে দেয়। পরে লকডাউনের কথা বলে গাড়ি উল্টো ঘুরিয়ে দেয়। তিনি লকডাউনের কথা জানতেন না।

যাত্রীবাহী যানবাহন আটকে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন গাজীপুর জেলার বাইরে থেকে আসা যাত্রীরা। ছবি: স্টার

পোশাক শ্রমিক মো. রুহুল আমীন ত্রিশাল থেকে গাজীপুরের হোতাপাড়ার উদ্দেশে বাসে উঠেন। তিনি বলেন, লকডাউনের কথা তিনি জানতেন না। জানলে বাড়ি থেকে বের হতেন না। ত্রিশ কিলোমিটার দূরে পুলিশ গাড়ি আটকিয়ে যাত্রী নামিয়ে উল্টো ঘুরিয়ে দিচ্ছে। কোনো যাত্রীবাহী যানবাহনও চলছে না। কীভাবে বাকি পথ যাবেন তাই ভাবছেন।

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন জানান, গাজীপুর ও ময়মনসিংহের সীমান্ত এলাকা জৈনাবাজারে যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন। সরকারি নির্দেশে পণ্যবাহী এবং অনুমোদিত গাড়ি ছাড়া কোনো গাড়ি গাজীপুরে প্রবেশ এবং বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশ কার্যকর থাকবে।

Comments

The Daily Star  | English
US attack on Iran nuclear sites

Iran denounces US attack as ‘outrageous’

Iran says 'no signs of contamination' after US attacks on key nuclear sites

7h ago