প্রিমিয়ার লিগে টিকে রইল রূপগঞ্জ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

রেলিগেশন লিগের ম্যাচ। তবে উত্তেজনা কম ছিল না এ ম্যাচ নিয়ে। আজ জিতলেই নিশ্চিত প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকা। তাই একটি ম্যাচ বাকি থাকলেও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ এবং ওল্ড ডিওএইচএসের মধ্যকার লড়াইটিই ছিল অলিখিত ফাইনাল। আর সে ফাইনালে ওল্ড ডিওএইচএসকে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে টিকে রইল রূপগঞ্জই।

মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওল্ড ডিওএইচএসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ১৮ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৭ রান করে করে ডিওএইচএস। জবাবে ৫ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় রূপগঞ্জ।

অবনমন অঞ্চলের আগের ম্যাচে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে আশা জিইয়ে রেখেছিল ডিওএইচএস। তাতে তাদের পয়েন্ট হয়েছিল ৮। অন্যদিকে প্রথম পর্বেই ৭ পয়েন্ট পাওয়া রূপগঞ্জের পয়েন্ট হলো ৯। তাই পারটেক্সের সঙ্গে রেলিগেশন লিগে তাদের শেষ ম্যাচটি হলো নিছক আনুষ্ঠানিকতার।

এদিন সকাল থেকেই মিরপুরে মুশলধারে বৃষ্টি। পরে বৃষ্টির গতি কমলেও থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি চলছিল। তবে দুপুরের পর সে ধারাও থামে। তাই কিছুটা বিলম্ব হলেও শুরু হয় রেলিগেশন লিগের ম্যাচটি। কিন্তু ম্যাচের মাঝেই কয়েক ধাপে আবার নামে বৃষ্টি। তাই বাধ্য হয়ে দুই ওভার কমিয়ে আনা হয় ম্যাচের পরিধি।

বৃষ্টিস্নাত ম্যাচের শুরুটাই ভালো করতে পারেনি ডিওএইচএস। ব্যক্তিগত ২ রানে ওপেনার রাকিন আহমেদকে হারায় তারা। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদুল হাসান জয়কে নিয়ে দলের হাল ধরেন আনিসুল ইসলাম ইমন। তবে রানের গতি বাড়াতে পারেননি। পাওয়ার প্লেতে আসে মাত্র ২৯ রান। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৮ রান করেন তারা।

তবে এ জুটি ভাঙতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ফলে পরের ব্যাটসম্যানরাও রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ১১৭ রানের সাদামাটা স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।

হোসেন আলীর বলে আউট হওয়ার আগে এক প্রান্ত ধরে রেখে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রানের ইনিংস খেলেন ইমন। ৩৯ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। জয়ের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। শেষ দিকে আলিস আল ইসলাম ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।

রূপগঞ্জের পক্ষে ২৩ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন হোসেন আলী। ১২ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট পান নাঈম ইসলাম।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি রূপগঞ্জেরও। দলীয় ২৯ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় দলটি। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরেন মেহেদী মারুফ ও সাব্বির রহমান। গড়েন ৬১ রানের জুটি। তবে ১৪তম ওভারে বল হাতে নিয়ে এ দুই সেট ব্যাটসম্যানকে আউট করে ম্যাচে ফিরেছিল ডিওএইচএস।

তবে অধিনায়ক নাঈম ইসলাম উইকেটে নেমে ম্যাচের মোড় ফের ঘুরিয়ে দেন। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন তিনি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস খেলেন সাব্বির ও মারুফ দুই জনই। তবে সাব্বির নিজের রান করেন কিছুটা ধীর গতিতে। ৩১ বল ৩টি চারের সাহায্যে এ রান করেন। অন্যদিকে মারুফ ছিলেন আগ্রাসী। ২২ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। শেষ দিকে ১৪ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন নাঈম। 

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

7h ago