লকডাউন না মেনে পদ্মায় যাত্রী পারাপার করছে ট্রলার

লকডাউনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল করতে দেখা গেছে।
বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া নৌপথে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল করছে। ছবি: স্টার

লকডাউনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে যাত্রীবাহী ট্রলার চলাচল করতে দেখা গেছে।

আজ মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় বাংলাবাজার ঘাট থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার পদ্মা পাড়ি দিয়ে শিমুলিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে আসে। মাঝ পদ্মায় অবস্থানকালে ট্রলারটি তীব্র ঢেউয়ের কবলে পড়ে। অল্পের জন্য রক্ষা পান যাত্রীরা।

আজ দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সরেজমিনে শিমুলিয়া ঘাট থেকে দেখা যায়, বিভিন্ন সময়ে মাঝ পদ্মায় তিনটি ট্রলার যাত্রী বহন করছে। এরমধ্যে দুটি ট্রলার বাংলাবাজার ঘাট থেকে এসেছে ও আরেকটি শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায়। এসময় ঘাট এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সদস্যের দেখা পাওয়া যায়নি।

বরিশাল থেকে ঢাকাগামী ট্রলার যাত্রী মো. শাহ আলম জানান, বাংলাবাজার ঘাট থেকে জনপ্রতি একশ টাকা ভাড়া দিয়ে ট্রলারে শিমুলিয়া ঘাটের দিকে যাত্রা শুরু করি। মাঝ পদ্মায় এসে ট্রলারটি ঢেউয়ের কবলে পড়ে। এসময় ট্রলারটি অল্পের জন্য ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়। প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগেছে শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছাতে।

মাঝ পদ্মায় এসে ট্রলারটি ঢেউয়ের কবলে পড়ে। এসময় ট্রলারটি অল্পের জন্য ডুবে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়। ছবি: স্টার

তিনি জানান, ট্রলারটি ফেরিঘাট থেকে যাত্রী নেওয়ার সময় ঘাটে প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। এ নৌপথের নতুন যাত্রী হওয়ায় এটি বৈধ নাকি অবৈধ এ ব্যাপারে তার জানা নেই বলেন তিনি।

কয়েকজন যাত্রী জানান, ফেরিতে যাত্রীদের বেশি উপস্থিতি ও দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে ট্রলারে পদ্মা পার হচ্ছেন তারা। বেশি ভাড়া গুণেও জীবনের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে।

মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল কবীর জানান, সকাল থেকে বৈরি আবহাওয়ার কারণে পদ্মায় নৌ-পুলিশের টহল কার্যক্রম ব্যাহত হয়।

তিনি বলেন, ‘পদ্মায় ট্রলার চলাচল করার কথা নয়। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’

Comments

The Daily Star  | English

Army given magistracy power

In order to improve law and order, the government last night gave the power of magistracy to commissioned army officers for 60 days.

1h ago