চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৯২.৭৫ শতাংশ, মৃত্যু ৫
চুয়াডাঙ্গায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় এই জেলায় ২৪ ঘণ্টার করোনা শনাক্তের হার ৯২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। একই সময়ে চুয়াডাঙ্গায় করোনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৬৪ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদরে ২২ জন, দামুড়হুদায় ১০ জন, আলমডাঙ্গায় ১০ জন এবং জীবননগরে ২২ জন।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১২৫টি নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত হন ৮২ জন এবং শনাক্তের হার ছিল ৬৫.০৬ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল একজনের। তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ১১৮টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হন ৫৯ জন এবং শনাক্তের হার ছিল ৫০ শতাংশ।
চুয়াডাঙ্গায় এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৭৯৬ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন সুস্থসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২০ জন এবং মারা গেছেন ৮৯ জন।
বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬৮৭ জন। এর মধ্যে হোম আইসোলেশনে আছেন ৬৩০ জন। হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫৩ জন এবং বিভিন্ন জায়গায় রেফারড আছেন চার জন।
লকডাউন
এদিকে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা সাত দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া লকডাউন চলবে আগামী ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকন জানান, জীবননগর উপজেলায় করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। তাই জীবননগর উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে মাঠে কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন।
এর আগে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় গত ১৫ জুন থেকে ১৪ দিনের জন্য লকডাউন করা হয় জেলার সীমান্তবর্তী দামুড়হুদা উপজেলা। ২০ জুন লকডাউন করা হয় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকা ও সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়ন। ১৮ জুন থেকে ৭ দিনের বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করা হয় জীবননগর উপজেলায়। পরে আজ ২৩ জুন থেকে এই উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
উল্লেখ্য, খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে গত বছরের ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
Comments