বেনাপোলে ৭ দিনের লকডাউনে আমদানি-রপ্তানি চলবে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার বেড়ে যাওয়ায় বন্দরনগরী বেনাপোলের পৌর এলাকা ও শার্শা উপজেলায় সাত দিনের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্তে আজ বুধবার থেকে আগামী ২৯ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন কার্যকর থাকবে। এর আগে, গত ১৭ থেকে ২৩ জুন পর্যন্তও সেখানে এক সপ্তাহের লকডাউন ছিল।
লকডাউন চলাকালেও নানা রকমের বিধি-নিষেধ থাকলেও এ সময়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান।
তিনি জানান, আজ সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর থানা পুলিশ সব ধরনের দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। শুধু বেলা ১২টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার ও মুদি দোকান খোলা ছিল। মোড়ে মোড়ে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
‘তবে, দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে। বিশেষ করে ভারতীয় ট্রাকচালকরা যাতে বন্দরের বাইরে বের হতে না পারে, সেজন্য পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে’, বলেন তিনি।
ওসি আরও জানান, এবারের লকডাউনে কাঁচাবাজার ও মুদি দোকান সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। আন্তজেলা বাস-ট্রেন, সব ধরনের গণপরিবহন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেল, থ্রি-হুইলার ও হিউম্যান হলার চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সব ধরনের গণজমায়েত, সভা-সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে, ওষুধের দোকান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও তাদের বহনকারী গাড়ি, সংবাদকর্মীদের গাড়ি লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।
‘সরকারের রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখা হয়েছে। এ কাজে কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা কাস্টমস ও বন্দরে কাজ করতে পারবেন’, বলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী ডেইলি স্টারকে জানান, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।’
Comments