দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। সীমান্তবর্তী এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে মৃত্যুও।

দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। সীমান্তবর্তী এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে মৃত্যুও।

আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আয়োজিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ রোবেদ আমিন এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জুনে ৬০ হাজার ৬৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকায় সংক্রমণ অনেক বেড়েছে। গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন বিভাগে করোনা পরিস্থিতির অনেক অবনতি ঘটেছে। বরিশাল, চট্টগ্রাম, খুলনা, ময়মনসিংহ, রংপুরে শনাক্তের হার বেড়ে গেছে এই এক সপ্তাহে। শুধু রাজশাহীতে সাপ্তাহিক হিসেবে শনাক্তের হার কমেছে। এ ছাড়া, কিছুটা স্থিতিশীল অবস্থায় আছে সিলেট। এক সপ্তাহে বেশিরভাগ মৃত্যু হয়েছে খুলনায়।

রোবেদ আমিন বলেন, এ অবস্থায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি ও চলমান বিধি-নিষেধ কঠোরভাবে মেনে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে। তা নাহলে পরিস্থিতি শোচনীয় অবস্থায় যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অনেক বেড ও আইসিইউ খালি আছে। তবে, সীমান্ত এলাকার হাসপাতালগুলোর চিত্র ভিন্ন। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে অনেক বেশি। কোয়ারেন্টিনের সংখ্যা বাড়ছে।

টিকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৬ হাজার ৩৪৩ জনকে সিনোফার্মের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া ফাইজারের টিকা ২৪০টি ডোজ দেওয়া হয়েছে প্রথমদিনে। আরও টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। কয়েক মাসের মধ্যে টিকা সংকট থেকে মুক্ত হওয়ার আশা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।’

ডেঙ্গুর বিষয়ে সাবধান করে দিয়ে রোবেদ আমিন বলেন, জুনে ১২২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ মাসে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

ডায়রিয়া পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের দক্ষিণে ডায়রিয়া পরিস্থিতির যে অবনতি ঘটেছিল, তা এখন স্থিতিশীল। বান্দরবানের আলীকদমে পরিস্থিতি ভালোর দিকে।

রোবেদ আমিন বলেন, ইদানীং সাপের দংশনের ঘটনা বাড়ছে। দেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টি ভেনম সরবরাহ করা হচ্ছে।

৭০টি উপজেলায় হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগের কর্নার সাজানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ধীরে ধীরে সব উপজেলায় এ কাজ সম্প্রসারিত করা হবে।

এ ছাড়া, কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের জন্য ট্রেনিং মডিউল তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

ঢাকায় লকডাউন জরুরি বলে মনে করছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঢাকার চারপাশের জেলাগুলোতে ঘোষিত লকডাউন যদি নিশ্চিত করা যায়, তবে, ঢাকায় লকডাউনের জরুরি প্রয়োজন আছে বলে মনে করছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে, ওইসব জেলা থেকে মানুষের প্রবেশ ঠেকানো না গেলে ঢাকার পরিস্থিতি নাজুক হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে হয়তো লকডাউন দেওয়ার দরকার হতে পারে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ঘাটতি পূরণের বিষয়টি এখন কী অবস্থায় আছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকেই আশ্বাস দিচ্ছেন। তবে, এখনো হাতে পাচ্ছি না। অল্টারনেটিভ টিকা পেলেও এ সমস্যার সমাধান করা যাবে।

বিদেশগামী শ্রমিকদের ফাইজারের টিকা দেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অক্সফোর্ডের টিকার দ্বিতীয় ডোজ যারা পাননি, তাদের অন্য কোনো টিকার ডোজ দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটি সিদ্ধান্ত নিবে। তাদের সিদ্ধান্ত অনুসারে কাজ করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago