শুভাগতের তাণ্ডবের জবাবে শেখ মেহেদীর বিস্ফোরণ
জড়সড়ো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে অক্সিজেন জুগিয়ে তাণ্ডব তুলেছিলেন শুভাগত হোম। তার অপরাজিত ঝড়ো ফিফটিতে বড় সংগ্রহ পেয়েছিল মোহামেডান। পরে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে বল হাতেও চেপে ধরেছিলেন শুভাগত। কিন্তু দুবার জীবন পেয়ে চরম বিপদে পড়া গাজী গ্রুপকে বাঁচালেন শেখ মেহেদী হাসান। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে দলকে পাইয়ে দিলেন দারুণ জয়।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মোহামেডানকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির সুপার লিগের রানে ভরা ম্যাচে শুভাগত ৩১ বলে ৫৯ রানে মোহামেডান করেছিল ১৬৫ রান। ৩ বল আগে ওই রান পেরিয়ে যায় গাজী।
দলকে জেতাতে ৫৮ বলে ১১ চার, ৩ ছক্কায় ৯২ রান করেন মেহেদী। এই ম্যাচ জিতলেও শিরোপার দৌড়ে আসতে পারছে না মাহমুদউল্লাহর দল। শিরোপার দৌড়ে আগে থেকেই নেই মোহামেডান।
১৬৬ রান তাড়ায় সৌম্য সরকার-মেহেদী মিলে আনেন ভালো শুরু। তাদের জুটি অবশ্য তৃতীয় ওভারেই ভাঙ্গতে পারত। শুভাগতের বলে ১৩ রানে থাকা মেহেদীর সহজ স্টাম্পিং মিস করেন ইরফান শুক্কুর।
আরেক প্রান্তে সৌম্য আগ্রাসী শুরুটা টানতে পারেননি। ১৭ বলে ২২ রান করে তিনি শিকার শুভাগতের বলেই। ৪১ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর নামে ধস। শাহাদাত হোসেন দিপুকে তুলে নেন আসিফ হাসান।
মুমিনুল হক এসে ১০ বল খেলে বোল্ড হয়ে যান শুভগতের বলে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ৪ বলে ৮ করে শিকার আসিফের। ৭১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে গাজী। একদিকেই কেবল রান আনছিলেন মেহেদী।
ইয়াসির আলি এক ছক্কায় ১১ করে ফেরার পর সব ভার এসে পড়ে মেহেদীর ঘাড়ে। মেহেদী অবশ্য ফিফটি আগে আবারও ফিরতে পারতেন। ৪০ পেরুনোর পর তার তুলে দেওয়া সহজ ক্যাচ ধরতে পারেননি পারভেজ হোসেন ইমন।
এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি মেহেদীকে। দারুণ সব শটে খেলা বের করতে থাকেন মোহামেডানের গ্রিপ থেকে। আরিফুল হক, আকবর আলিদের এক পাশে রেখে খেলা নিয়ে আসেন অন্তিমে। একদম শেষ ওভারে দরকার ছিল কেবল ৫ রান। ওই সময় এলবিডব্লিউ হয়ে থামে তার ৯২ রানের ইনিংস। বাকিটা বাউন্ডারিতে এসেছে আকবর।
এর আগে ব্যাট করতে যাওয়া মোহামেডান পারভেজ-আব্দুল মজিদ জুটিতে পায় ভালো শুরু। যদিও মজিদ ছিলেন এক প্রান্তে। রান বাড়িয়েছেন পারভেজই। ৪০ রানের মাথায় ১০ রান করা মজিদকে বোল্ড করে ব্রেক থ্রো আনেন মেহেদী। পরে ৩২ বলে ৪১ করা পারভেজকেও ফিরিয়েছেন তিনি।
চারে নেমে শামসুর রহমান শুভ পারেননি। একাদশ ওভারে ইরফান শুক্কুরের সঙ্গে যোগ দিয়ে দলের খেলা বদলে দেন শুভাগত। তার নামার পরই বদলাতে থাকে ছবি। ২২ বলে ২৮ করে ইরফান ফিরে গেলেও চলতে থাকে শুভাগত’র শো। শেষ দুই ওভারে নাহিদ হাসানকে টানা তিন ছয়, মহিউদ্দিন তারেককে টানা তিন চারে মারেন মোহামেডান অধিনায়ক। তার অমন রূদ্রমূর্তিতে বড় পুঁজি পেয়ে যায় দল।
তবে অত বড় পুঁজিও বোলার-ফিল্ডারদের বাজে পারফরম্যান্সে কাজে লাগানো হয়নি ঐতিহ্যবাহী দলটির।
Comments