ভ্যাকসিন তৈরির প্ল্যান্ট গোপালগঞ্জের ওষুধ ফ্যাক্টরির আশপাশে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির প্ল্যান্ট গোপালগঞ্জ জেলার ওষুধ ফ্যাক্টরির আশপাশে নির্মিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ব্রিফ করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির প্ল্যান্ট গোপালগঞ্জ জেলার ওষুধ ফ্যাক্টরির আশপাশে নির্মিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ বিকাল ৪টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দইর এলাকার নিজ বাড়িতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ভ্যাকসিন তৈরির বিষয়টি আমরা আগ্রহের সঙ্গে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব ভ্যাকসিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। আমরা ভ্যাকসিন তৈরির প্ল্যান্ট গোপালগঞ্জ জেলার ওষুধ ফ্যাক্টরির আশপাশে নির্মাণের ব্যবস্থা নিয়েছি। সেটা একটু সময় লাগলেও কাজ শুরু হয়ে গেছে।’

বাংলাদেশে যৌথভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করার বিষয়ে চীন ও রাশিয়াকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যৌথভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করার বিষয়ে আমরা চীন ও রাশিয়াকে প্রস্তাব দিয়েছি। তারা চাইলে সরকারের সঙ্গে তৈরি করতে পারে অথবা প্রাইভেট কোম্পানি, যাদের ভ্যাকসিন তৈরি করার সক্ষমতা আছে, তাদের সঙ্গে কাজ করতে চাইলে সেই অনুমোদনও আমরা দিয়ে দেব।’

তিনি আরও জানান, চীনের সিনোর্ফাম থেকে কিছুদিনের মধ্যেই ভ্যাকসিন দেশে আসবে।

তবে, চীন থেকে কী পরিমাণ ভ্যাকসিন, কবে এসে পৌঁছাবে, তা জানাননি তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিনের ডোজ বেশি পরিমাণেই আসবে। এগুলো আমাদের গোপন রাখতে হচ্ছে। যখন আসবে তখন সবাই জানতে পারবেন।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে দুই পক্ষের আলোচনার যে বিষয়গুলো থাকে, তা আমরা অতিক্রম করেছি। আমরা এখন চুক্তি স্বাক্ষর করার জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে আছি। রাশিয়া থেকেও আমরা ভ্যাকসিন পাব। তবে, রাশিয়ার টিকা তৈরি সক্ষমতা অত বেশি নয়। সেখান থেকে কী পরিমাণ টিকা পাব, তা বলা যাচ্ছে না।’

জাহিদ মালেক আরও বলেন, ‘মডার্নার টিকা খুব তাড়াতাড়ি দেশে আসবে। তারা কথা রাখলে আট-দশদিন সময় লাগতে পারে। মডার্নার ভ্যাকসিন খুব ভালো। ভ্যাকসিনটি মাইনাস টুয়েন্টি ডিগ্রিতে রাখতে হয়। সেই ব্যবস্থাও আমরা ইতিমধ্যে নিয়েছি।’

লকডাউন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে আমরা লকডাউন চাই না। লকডাউন দিতে হচ্ছে অনেকটা বাধ্য হয়ে। লকডাউনের মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি হয়, দেশের অর্থনীতির বিরাট ক্ষতি হয়। কিন্তু, মানুষের জীবন রক্ষার্থে এবং করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্যেই লকডাউন দিতে হচ্ছে।’

আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিজ বাড়িতে আয়োজিত ওই প্রেস ব্রিফিংয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন ও গড়পাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন সরকারসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

DHL, Daily Star honour five business luminaries for outstanding achievements

The theme of this year's event is "Bangladesh on the rebound".

2h ago