পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে সাপ্তাহিক লকডাউন

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে আবারো লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
পর্তুগালের রাজধানী লিসবন। ছবি: স্টার

করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে আবারো লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লিসবন মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রতি সপ্তাহের শুরুর শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত লকডাউন বলবত থাকবে।

আলফা, ডেল্টা এবং ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট দেশব্যাপী ছড়িয়ে যাওয়ায় পর্তুগালের মন্ত্রীপরিষদ সচিব ভিয়েরা দা সিলভা সংবাদ সম্মেলনে লিসবন মেট্রোপলিটন, অ্যালিন্তেজো এবং আলগারভের কিছু পৌরসভায় এই আইন কার্যকরের ঘোষণা দেন।

গত ১৪ জুন পুরো দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরলেও রাজধানী লিসবনসহ কয়েকটি মিউনিসিপ্যালিটিতে আবারো জারি হলো লকডাউন।

লকডাউনের ফলে সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে অর্থাৎ শুক্রবার বিকাল থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত লিসবনবাসীকে পুরো দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ এই জোন থেকে বের হতে কিংবা প্রবেশ করতে পারবেন না।

এজন্য লিসবনে প্রবেশদ্বারের সড়ক এবং প্রতিটি রেলস্টেশনে বসানো হয়েছে বিশেষ চেকপোস্ট। তবে, যাদের কোভিড-১৯ এর টিকা দেওয়া আছে  এবং করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট আছে, তারা লকডাউনের সময় রাজধানীতে প্রবেশ করতে পারবেন।

পর্তুগাল জাতীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএস) তথ্য মতে, জুন মাসে সংক্রমণের ৬০ শতাংশই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। লিসবনের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যুক্তরাজ্যের আলফা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি সংক্রামক।

লিসবনে বসবাসকারী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে এই উচ্চ সংক্রমণের প্রভাব পড়েছে। এখানে বসবাসকারী অনেক প্রবাসী, ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশি সাংবাদিকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

পর্তুগালে এ পর্যন্ত আট লাখ ৭৩ হাজার ৫১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং এক হাজার ৭৮৩ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া, প্রায় ৭১ লাখ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের বেশি।

লেখক: পর্তুগালপ্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Secondary schools to reopen Saturday, primary on Sunday

Academic activities at all secondary-level educational institutions will resume on Saturday, the Ministry of Education said today

3h ago