শিমুলিয়ায় গাদাগাদি করে পার হচ্ছেন মানুষ
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/shimulia_ghat.jpg?itok=RXr3uW-7×tamp=1624771172)
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে হাজারো মানুষ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ফেরিগুলোতে পা রাখারও জায়গা নেই। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাদাগাদি করে নদী পার হতে দেখা যায় যাত্রীদের।
আজ রোববার ভোর থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা গেছে এই নৌপথে।
তখন পর্যন্ত মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে চার শতাধিক গাড়ি পারের অপেক্ষায় ছিল।
এদিকে, আজ ষষ্ঠ দিনে জেলার ভেতরে ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন চলছে। পুলিশের চেকপোস্টগুলোতেও শিথিলতা দেখা গেছে। ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের ছনবাড়ি থেকে ঘাট পর্যন্ত কোথাও পুলিশের চেকপোস্ট দেখা যায়নি। যাত্রীবহন করে এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল, সিএনজি ও অটোরিকশা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে দেখা গেছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক সাফায়েত আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘আজ সকাল থেকে এ নৌপথে ১৬টি ফেরির মধ্যে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। জরুরি পরিসেবার আওতায় যানবাহন পারের জন্য ফেরি চালু থাকলেও যাত্রীরাও নিষেধ অমান্য করে ফেরিতে উঠছেন। ঘাটে আসা হাজারো মানুষকে ফেরি থেকে দূরে রাখা যাচ্ছে না।’
যাত্রীদেরকে সচেতন করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ঘাট এলাকায় চার শতাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় আছে। এর মধ্যে প্রাইভেট কার, পিকআপ ভ্যান, পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স আছে।
মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) সুমন দেব ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘জেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট আছে। সেখানে নজড়দারি রাখা হচ্ছে। ঢাকা থেকে অসংখ্য গাড়ি ঘাট এলাকায় এসে পড়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামের বিভিন্ন পথ ব্যবহার করে ছোট-ছোট যানবাহন চলাচল বন্ধেও কাজ করছে পুলিশ। শিমুলিয়া ঘাট পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেও তারা কাজ করছেন।’
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের হাসাড়া হাইওয়ে পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় শিমুলিয়া ঘাটগামী যানবাহনের চাপ কম আছে। ঘাটে যেসব গাড়ির চাপ বাড়ছে সেসব গাড়ি এক্সপ্রেসওয়ের পকেট গেট ব্যবহার করে চলাচল করছে।’
Comments