রোনালদোর চেয়ে লুকাকুকে কঠিন প্রতিপক্ষ ভাবছেন ইতালিয়ান ডিফেন্ডার

পর্তুগাল ও বেলজিয়ামের ম্যাচের জয়ী দলকে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে পাবে ইতালি। অর্থাৎ হয় ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো অথবা রোমেলু লুকাকুকে মোকাবিলা করতে হবে আজ্জুরিদের।
ronaldo and lukaku

পর্তুগাল ও বেলজিয়ামের ম্যাচের জয়ী দলকে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে পাবে ইতালি। অর্থাৎ হয় ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো অথবা রোমেলু লুকাকুকে মোকাবিলা করতে হবে আজ্জুরিদের। দুজনই আছেন ফর্মের চূড়ায়। এই মুহূর্তে তাদেরকে আটকানো রীতিমতো দুঃসাধ্য ব্যাপার। তারপরও একজনকে প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নিতে বললে, কাকে নির্বাচন করবে রবার্তো মানচিনির শিষ্যরা?

সরাসরি না দিলেও উত্তরটা ইঙ্গিতে বুঝিয়েছেন ইতালির সেন্টার-ব্যাক ফ্রান্সেস্কো আসেরবি। বেলজিয়ামের লুকাকুকে নয়, বরং পর্তুগালের অধিনায়ক রোনালদোকে শেষ আটে চাইছেন তিনি। সিরি আতে লাৎসিওর হয়ে খেলা ৩৩ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার বলেছেন, রোনালদোকে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ মনে হয় তার কাছে।

শনিবার রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে অস্ট্রিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টারে উঠেছে ইতালি। পুরো ১২০ মিনিট মাঠে ছিলেন আসেরবি।  রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জয়ের পর গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি লুকাকুকে দিয়েছেন পরিপূর্ণ খেলোয়াড়ের তকমা, ‘(প্রতিপক্ষ হিসেবে) লুকাকু (বেশি কঠিন)। কারণ, তিনি একজন পরিপূর্ণ খেলোয়াড়। রোনালদোও তা-ই। তিনি সবসময় গোল করেন।’

acerbi
ছবি: টুইটার

ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার লুকাকুকে এগিয়ে রাখার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি, ‘সেন্টার-ফরোয়ার্ড হিসেবে লুকাকুকে মার্ক করা বেশি কঠিন। আকৃতির দিক থেকে তিনি বড়, তিনি ভীষণ শক্তিশালী এবং তিনি মূলত একজন স্ট্রাইকার। অন্যদিকে, রোনালদো হলেন সেরা মানের ফরোয়ার্ড। কিন্তু তাকে মার্ক করা লুকাকুর চেয়ে সহজ।’

গ্রুপ পর্বের সবকটি ম্যাচ জিতে শেষ ষোলোতে ওঠা ইতালির কঠিন পরীক্ষা নেয় অস্ট্রিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল মানচিনির দল। তবে চাপ সামলে বাধা উতরে গেছে তারা। পারফরম্যান্স মূল্যায়নে আসেরবি বড় করে দেখেছেন নিজেদের মানসিক দৃঢ়তাকে, ‘অস্ট্রিয়া আমাদের চেপে ধরেছিল এবং আমরাও কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। আমাদের হয়তো কিছু কিছু সময়ে আরও বেশি ড্রিবল করা উচিত ছিল।...তারা শারীরিকভাবে শক্তিশালী এবং আমাদের কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলতে সক্ষম ছিল। তাই আমরা জানতাম, দ্বিতীয়ার্ধ থেকে ম্যাচটা অত্যন্ত কষ্টকর হবে। বিশেষ করে, মানসিকভাবে।’

উল্লেখ্য, ১৯৩৫ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৩৯ সালের জুলাইয়ের মধ্যে টানা ৩০ ম্যাচে অপরাজিত ছিল ইতালি। অস্ট্রিয়াকে হারিয়ে ৮২ বছরের পুরনো সেই রেকর্ড ভেঙেছে তারা। এই নিয়ে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ টানা ৩১ ম্যাচে অপরাজিত রইল দলটি।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus seeks US support to rebuild Bangladesh, implement reforms

Tells US delegation that Bangladesh is in a significant moment in its history

49m ago