নাটোর

বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ হত্যায় চার্জশিট, আ. লীগ নেতা জাকিরসহ অভিযুক্ত ৪৪

বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ নূর বাবু এবং বনপাড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা কে এম জাকির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১১ বছর পর নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ নূর বাবু হত্যা মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে সিআইডি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বড়াইগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ আব্দুল হাই সরকার ওই চার্জশিট জমা দেন।

চার্জশিটে বনপাড়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা কে এম জাকির হোসেনসহ ৪৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে এএসপি বলেন, ‘এই মামলায় মোট ৪৫ জন আসামি ছিলেন। ২০১৬ সালে বাদশা মিয়া নামের এক আসামি মারা যান। সেজন্য তার নাম বাদ দিয়ে বাকি ৪৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে তিন জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাদের বিচার কিশোর আদালতে হবে।’

‘তদন্তে ঘটনার সঙ্গে প্রত্যেক আসামির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাই চার্জশিটে ৪৪ জনেরই নাম এসেছে’, বলেন তিনি।

২০১০ সালের ৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনের জন্য বড়াইগ্রাম উপজেলার তৎকালীন চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা সানাউল্লাহ নূর বাবুর নেতৃত্বে বনপাড়া বাজারে মিছিল বের করলে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়। মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর প্রকাশ্যে হামলাকারীরা উপজেলা চেয়ারম্যান বাবুকে পিটিয়ে জখম করে।

বাবুকে প্রথমে পাবনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনার ভিডিও প্রকাশ হওয়ার পর দেশব্যাপী আলোচনা শুরু হয়। এ ঘটনায় বাবুর স্ত্রী মহুয়া নূর কচি বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ সময় ধরে নয় জন কর্মকর্তা মামলাটির তদন্ত করেছেন। তদন্ত শেষে আজ চার্জশিট দাখিল হলো।

নিহত সানাউল্লাহ নূর বাবুর স্ত্রী ও হত্যা মামলার বাদী মহুয়া নূর কচি জানান, অভিযুক্ত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়ায় তিনি আনন্দিত।

অভিযোগপত্রের কপি হাতে পাওয়ার পর ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হয়েছে কিনা, সেটা জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে মূল অভিযুক্ত বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কে এম জাকির হোসেন বলেন, ‘সেদিন বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্বে বাবু নিহত হন। ক্ষমতাসীন দল হিসেবে সেখানে যেন বিশৃঙ্খলা না হয়, সেজন্য আমরা যাই। বাবু মারা যাওয়ার আগে থানায় বিএনপির একরামুল আলমের নামে জিডি করে রেখেছিল। উপজেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে এই বক্তব্য রেজুলেশন আকারে নেওয়া হয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ফাঁসাতে বাবুর স্ত্রী আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছিলেন। অভিযোগপত্র হাতে পাওয়ার পর আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। এই ব্যাপারে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

Comments

The Daily Star  | English

Complete polls preparations by December: Yunus

Asks to review if those who served as polling officers in past three elections shall not be assigned the same roles again

3h ago