গণপরিবহন বন্ধ: চট্টগ্রামে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ

করোনা সংক্রমণের রাশ টানতে চলমান বিধি-নিষেধ অনুযায়ী গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। আজ বুধবার সকালে নগরীর টাইগার পাস এলাকায় জড়ো হয়ে বিভিন্ন কারখানার পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
CTG_Protest_30June21.jpg
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর টাইগার পাস এলাকায় বিক্ষোভ করেন পোশাক শ্রমিকরা। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

করোনা সংক্রমণের রাশ টানতে চলমান বিধি-নিষেধ অনুযায়ী গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। আজ বুধবার সকালে নগরীর টাইগার পাস এলাকায় জড়ো হয়ে বিভিন্ন কারখানার পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।

ভোর থেকেই তারা টাইগার পাস এলাকায় জড়ো হচ্ছিলেন। সকালে বৃষ্টি নামলে ছাতা মাথায় তারা বিক্ষোভ চালিয়ে যান। ইয়ং ওয়ান নামে একটি কারখানায় কাজ করেন জরিনা। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গার্মেন্টস কেন চলবে! গাড়ি কেন দেবে না? ওরা অফিসের গাড়ি নিয়ে অফিসে যায়, আমরা কেন যেতে পারি না? আমরা কীভাবে যাব? প্রতিদিন চার-পাঁচ শ টাকা খরচ হচ্ছে, তারপরও গাড়ি পাচ্ছি না।

জরিনা বলেন, গার্মেন্টস বন্ধ থাক, কোনো সমস্যা নাই। লকডাউনে অর্ধেক খোলা থাকবে, অর্ধেক বন্ধ— অফিসের গাড়ি চলবে, আমরা জনগণ কী করবো? আমরা জনগণ কী দিয়ে যাব? গাড়ির ব্যবস্থা করলে তারপর অফিসে যাব।

আরেকটি পোশাক কারখানার শ্রমিক জাহাঙ্গীর বলেন, লকডাউনে গাড়ি বন্ধ করে রেখেছে সরকার। চললে সব চলবে। আমাদের দাবি এটাই। আর বন্ধ থাকলে সব বন্ধ থাকবে।

CTG_Protest1_30June21.jpg
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর টাইগার পাস এলাকায় বিক্ষোভ করেন পোশাক শ্রমিকরা। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

টাইগার পাস ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন সড়কে বিক্ষোভ করতে দেখে গেছে। চলমান বিধি-নিষেধের সময় নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নিজস্ব যানবাহনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করার কথা থাকলেও সরকারের সেই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না।

নগরীর মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা ও পোশাক শ্রমিক আলী হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, মুরাদপুর থেকে ফ্রিপোর্ট এলাকায় কারখানায় যেতে বাসে ৩০ মিনিট সময় লাগে, রিকশায় লাগে দুই ঘণ্টা। সব সময় রিকশা পাওয়া যায় না। গণপরিবহন বন্ধ রেখে অফিস খোলা রাখা মানে আমাদের চরম দুর্ভোগে ফেলা। আগে বাসে ৫০ টাকা খরচ হতো, এখন ৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সকালে টাইগার পাস এলাকায় পোশাক শ্রমিকরা আধা ঘণ্টার জন্য জড়ো হয়েছিল। গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়ার পরে তারা কাজে চলে গেছে।’

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago