কুবির সহকারী অধ্যাপকের পদোন্নতি বাতিল: ভিসি ও রেজিস্ট্রারের দুই ধরনের তথ্য

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলামকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দেওয়া পদোন্নতি এখনো বাতিল হয়নি বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী।
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলামকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দেওয়া পদোন্নতি এখনো বাতিল হয়নি বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী।

তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. আবু তাহের জানিয়েছেন, যথাযথভাবে আবেদন না করায় কাজী এম. আনিছুল ইসলামের পদন্নোতি বাতিল করা হয়েছে।

কুবি রেজিস্ট্রার টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আনিছুল ইসলাম আগে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের অভিজ্ঞতার সনদে “টু রেজিস্ট্রার” লেখার পরিবর্তে “টু হুম ইট মেয় কনসার্ন” লেখা ছিল। যেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এই কারণে তার পদোন্নতি বাতিল করা হয়েছে।’

গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ৭৯তম সিন্ডিকেটে আনিছুল ইসলামকে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদন্নোতি দেওয়া হয়। যা রোববার অনুষ্ঠিত ৮০তম সিন্ডিকেটে বাতিল করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

রেজিস্ট্রার বলেন, ‘সেই শিক্ষক যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবার আবেদন করলে নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট যদি অনুমোদন দেয়, তবেই তিনি সহকারী অধ্যাপকের পদমর্যাদা পাবেন।’

আগে তাহলে কেন তাকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদন্নোতি দেওয়া হয়েছিল?, জানতে চাইলে ড. আবু তাহের বলেন, ‘বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে আনিছুল ইসলামকে পদন্নোতি দেওয়া হয়। এই বিষয়ে বিভাগের আরও সতর্ক হওয়ার দরকার ছিল।’

এ বিষয়ে কাজী এম. আনিছুল ইসলাম টেলিফোনে ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্কুলার অনুযায়ী আমি ভাইভা বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছি। গত কয়েক মাস ধরে সহকারী অধ্যাপকের সব সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি।’

‘বিশ্বাবিদ্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো আমাকে কিছু জানানো হয়নি। তবে, গণমাধ্যম থেকে পদোন্নতি বাতিল বিষয়ে জেনেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাকে বিষয়টি জানালে তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব’, তিনি বলেন।

আনিছুল ইসলামের পদন্নোতি বাতিল বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘এরকম কিছু হয়নি। মাত্র সিন্ডিকেট হয়েছে। এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সবার সঙ্গে আলোচনা করে পদোন্নতি বাতিল বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তার আগে কে কী বলেছে, সেটা আমার কাছে ভ্যালুলেস (মূল্যহীন)।’

তবে, সেই শিক্ষকের আবেদন প্রক্রিয়ায় একটু ত্রুটি ছিল বলেও জানান ভিসি।

Comments

The Daily Star  | English

Ex-public administration minister Farhad arrested

Former Public Administration minister Farhad Hossain was arrested from Dhaka's Eskaton area

3h ago